বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অপরাধী প্রমাণ করতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। তারপরও তারেক রহমানকে অপরাধী প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ৪৫ হাজার কোটি টাকার উৎস কি ক্যাসিনো? নাকি শেয়ার বাজার লুটের টাকা এগুলো? নাকি বাংলাদেশ ব্যাংক লুটের টাকা? এটি জানতে চায় জাতি।

রোববার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। বিকেলে নগরী ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু প্রমুখ।

মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম জিয়াকে দুই কোটি টাকার জন্য আটকে রাখা হয়েছে। আদালতে প্রমাণ হয়নি এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। ওই টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে আছে। দিনে দিনে সুদে-আসলে ওই টাকা ছয় কোটি হয়েছে এখন। এই টাকার জন্য বেগম জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে এটি বিশ্বাস করতে চাই না। তাকে আটকে রাখা হয়েছে দেশে লুটপাট করার জন্য। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য।

ভারতে দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠানো প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, পূজা উপলক্ষে ভারতকে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ উপহার দেয়া হলো। বিনিময়ে আমরা কি পেলাম? ইলিশ উপহারের দিনে আট বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ। এসব কবে বন্ধ হবে?।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, সম্প্রতি যুবলীগের সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, ১২ বছর ধরে পুলিশ ভাইয়েরা, র‌্যাব ভাইয়েরা কি আঙুল চুষছিলেন? সাতটি স্পটে ক্যাসিনো খেলা হয়, এই সাতটি স্পটের সাতটি থানার র‌্যাব এবং পুলিশকে গ্রেফতার করতে হবে। একবার ভেবে দেখুন, আপনারা কাকে পাহারা দিচ্ছেন? আমাদের বহু নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, গুম হয়েছেন। গ্রেফতার হচ্ছেন। একটা সময় আসবে, তখন এরাই বলবে, আমারা পুলিশকে কোনো নির্দেশ দেইনি। সুতরাং এদের পাহারা দিয়ে লাভ নেই।