ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ, মারিয়ান জোন্সদের তালিকায় ঢুকে পড়লেন শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস। সর্বকালের অন্যতম সেরা মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে। এক সন্তানের মা হয়েও ফুরিয়ে যাননি। বরং প্রায় দু’বছর পর ফিরে এলেন রানির মতোই। প্রায় এক যুগ ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে এমন সাফল্য খুব কম অ্যাথলিটেরই রয়েছে।
দোহায় বিশ্ব মিটে ১০০ মিটারে আবার সোনা জিতলেন জামাইকান অ্যাথলিট। ৩২ বছর বয়স। কিন্তু পারফরম্যান্স যেন আরও ধারালো হয়ে উঠেছে তার। বিশ্ব মিটে সোনা জিততে সময় নিলেন বিশ্বের দ্রুততম রানার সময় নিলেন ১০.৭১ সেকেন্ড। এ নিয়ে টানা চতুর্থ বার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। দ্বিতীয় ডাইনা অ্যাসার স্মিথ (১০.৮৩)।উসেইন বোল্ট আর শেলির উত্থান একই সময় থেকে— ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক থেকে। ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকেও ছিলেন দ্রুততম মহিলা। কিন্তু রিওতে নিরাশ করেছিলেন তিনি। দোহার বিশ্ব মিটে ফের পোডিয়াম উঠে শেলি প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে ‘মেয়েদের বোল্ট’ বলা হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, বোল্ট ট্র্যাক থেকে সরে গিয়েছেন অনেক আগেই। শেলি কিন্তু এখনও অপ্রতিরোধ্য।
শেলি যখন ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছেন, তখন তার ছেলে বসে গ্যালারিতে। এটাই আরও বেশি করে জামাইকান স্প্রিন্টারকে অনুপ্রাণিত করেছে।
সোনা জেতার পর শেলি বলেছেন, ‘আমার সাফল্যের রহস্যই হল, নিজের প্রতি পরিষ্কার ধারণা রাখা। অ্যাথলিট ও মানুষ হিসেবে সব সময় নিজের ফোকাস ধরে রাখি। চেষ্টা করি যে কঠিন পরিশ্রমটা আমাকে তুলে এনেছে, সেটা চালিয়ে যেতে।’ সঙ্গে জুড়েছেন, ‘ছেলে গ্যালারিতে বসেছিল। এটা আমাকে একটা অন্য রকম অনুভূতি দিয়েছে।’