আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য (ভিসি) চাইলে তাদের ৫ দফা দাবি এক ঘণ্টাতেই পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু সেটি যদি না করা হয়, তাহলে ১৪ অক্টোবর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় সমাবেশের শুরুতে এসব কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ৫ দফা দাবি আদায়ে বুয়েট শহীদ মিনারের সমাবেশে অংশ নিতে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশের শুরুতে ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, ‘ভিসি স্যার চাইলে আমাদের পরিবর্তিত ৫ দফা দাবি এক ঘণ্টাতেই পূরণ সম্ভব। ৫ দফা দাবি পূরণ না হলে ১৪ অক্টোবরের ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না।’
আবরার ফাহাদ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ৫ দফা দাবি আদায়ে বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: হারুণ আল রশীদ৫ দফা দাবিগুলো হলো—হত্যাকারীদের বুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এ মর্মে নোটিশ দেওয়া, সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য অবৈধ ছাত্রদের সিট বাতিল করা, সাংগঠনিক অফিস সিলগালা করা, ফাহাদের মামলার খরচ দেওয়ার নোটিশ দেওয়া ও ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং এ ধরনের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সব হলের সিসিটিভির ফুটেজে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা।
আবরার ফাহাদ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ৫ দফা দাবি আদায়ে বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: হারুণ আল রশীদউল্লেখ্য ৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।