সম্পর্কে নানাভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি শেষে অবশেষে বিচ্ছেদ হলো জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক ও মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া মিমের। ব্যক্তি-স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া, নির্যাতন ও পরকীয়ার অভিযোগ তুলে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ডিভোর্স দেন মারিয়া মিম।
গতকাল সোমবার মিম তার ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে তালাকের কথা জানান। এর আগে, গত শনিবার তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন মিম। তালাকের কাগজটি সিদ্দিকের কাছে পৌঁছাবে আগামীকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর)। দু’জনের সিদ্ধান্তেই তালাক হয়েছে বলে জানান মিম।
ফেসবুকে নিজের দাম্পত্য জীবনের ক্ষোভ প্রকাশ করে মিম লিখেন, ‘আজ আমি একজন মেয়ে বলেই আমাকে সব কিছু মেনে নিতে হবে। মেনে নিতে হবে সকল অত্যাচার, সহ্য করতে হবে সকল মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। শুনতে হবে সকল মিথ্যা অপবাদ। রাতের পর রাত, দিনের পর দিন সবকিছু সহ্য করেছি এবং একা একা কেঁদেছি…’
নিজের সন্তান প্রসঙ্গে মিম লিখেন, ‘আমাদের সেপারেশনের পর থেকে সিদ্দিকুর রহমান আমার একমাত্র আদরের সন্তান আরশ হোসাইনের সঙ্গে দেখা করতে দেয় না এবং কথাও বলতে দেয় না। এই জন্য আমি সিদ্দিকুর রহমানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবো যেন আমার বাচ্চা আমার কাছে থাকে। একমাত্র একটা মা জানে তার সন্তানের সঙ্গে দেখা না করার, কথা না বলা কতটা কষ্টের এবং দুঃখের।’
২০১২ সালের ২৪মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে রয়েছে। গত তিন মাস ধরে আলাদা ছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক ও মারিয়া মিম।
মডেলিং করতে না দেওয়ার অভিযোগে সিদ্দিককে ডিভোর্স দেবেন মারিয়া মিম এমন খবর সম্প্রতি দেশের মিডিয়া ও শোবিজ জগতে বেশ সরগরম ছিল। এরই রেশ ধরেই এ বিচ্ছেদ হয় বলে জানা গেছে।
মিম আরও জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে অনেক কিছুই তারা মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। তিনি চান শোবিজে কাজ করতে। কিন্তু সিদ্দিকের এতে আপত্তি ছিল।
মিমের অভিযোগ, কিছু দিন আগেই একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার কথা থাকলেও বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা রানা মাসুদকে সিদ্দিকই প্রভাবিত করেছেন তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেওয়ার জন্য।
মিম বলেন, ‘সিদ্দিক নিজেও একজন শোবিজের মানুষ। অভিনয় করে, মডেলিং করে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। স্বামী হিসেবে ওর কাছে কোনো সহযোগিতা পাইনি। সে জন্যই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচ্ছেদের।
যদিও সিদ্দিক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, মিডিয়ার কাজ নয়, বরং অন্য কোনো কারণেই মিম তাকে তালাক দিয়েছে।