মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি উল্লেখ করে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ইয়াংঘি লি।
গতকাল বুধবার বিকেলে নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়াংঘি লি বলেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে পরিস্থিতি অবশ্যই দেশটির পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তুলে ধরতে হবে।’
মিয়ানমারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান আরও বলেন, ‘রাখাইনে এখনো অবস্থানরত ছয় লাখ রোহিঙ্গা গণহত্যার শিকার হওয়ার চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেসব আন্দোলনকারী, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিকরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করছেন, তাদের শাস্তি দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ কারণেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং এর কমান্ডারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
লি বলেন, ‘অন্তত আট শিশুকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে একজনের বয়স মাত্র পাঁচ বছর। দেশের গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকুচিত করতে ব্যবহৃত নিপীড়নমূলক আইনগুলো সংশোধন না করে উল্টো মিয়ানমার সরকার সমালোচকদের বিরুদ্ধেই এগুলো ব্যবহার করছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা তাদের অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, রাখাইনে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আর জাতিগতভাবে নিধনে রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ ও তাদের বসত-বাড়িতে অগ্নিসংযোগের দায়ে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংসহ দেশটির শীর্ষ জেনারেলদের বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করেছিলেন তারা।
এক মাস পরও তারা জানালেন পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। তাই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও কমান্ডারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয়েছে।