ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর পদে থাকার বৈধতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেন, নুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হওয়া উচিত।
বুধবার গণমাধ্যমে এ কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। এর আগে, দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু)র সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরের পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা।এছাড়া নূরের কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি ঘোষনা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সম্প্রতি নুরের কিছু টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হয়। অডিওতে শোনা গেছে, ভিপি নুর এক ব্যক্তির সাথে টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। অপর একটি ফোনালাপে প্রবাসী এক বাংলাদেশির ভিপি নুরকে বলছেন, আমি কিছু টাকা-পয়সা উঠিয়ে পাঠাতে চাচ্ছি। আমি জানি, তোমাদের খুব টাকা-পয়সার দরকার।
এ সময় ভিপি নুর বলেন, এই মানে যতটুকু সৎ থাকা যায় চেষ্টা করছি। তখন ওই প্রবাসী টাকা পাঠানোর জন্য ভিপি নুরের কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য চান।
এ সকল অডিও ক্লিপ সম্পর্কে ভিপি নুর বলেন, আংশিক ফোনালাপ ছেড়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে রাষ্ট্রযন্ত্র। একটি ফোনালাপ এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইয়ের সাথে। আমার আন্টির কনস্ট্রাকশনের কাজ আছে, তিনি সরকারি কাজের টেন্ডারটি পেয়েছেন। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল ব্যাংক গ্যারান্টি লাগতো তাদের। আমার মামাতো ভাই অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে, তাই আন্টি আমার সহায়তা চেয়েছেন পরিচিত কারও মাধ্যমে ব্যাংক গ্যারান্টির বিষয়ে সহায়তা পাওয়া যায় কিনা। সেই আলাপকে বলা হচ্ছে ‘প্রকল্প কর্মকর্তার’ সাথে আমি কথা বলেছি। এটা নিতান্তই ষড়যন্ত্রমূলক।
প্রবাসীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে নুর বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উনি ফোন দিয়ে অর্থ সহায়তার কথা বলেছেন। সেটার কর্তিত অংশ দেয়া হয়েছে। আমরা অপরিচিত কারও কাছ থেকে টাকা নেই না। আমি ওনাকে সেটিই বলেছি।