নিজস্ব প্রতিবেদক

বরাবরই ব্যতিক্রমতার স্বাক্ষর রেখে সাধারণ মানুষসহ সকল স্তরের মানুষের নজর কেড়ে নেওয়াসহ তাদের একান্ত আস্থাভাজন একজন সংবাদকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দীর্ঘ ১২ বছর প্রতিবাদী, আপোষহীন,সততা,নিষ্ঠা,সাহসিকতা, স্বচ্ছতার সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতাসহ ও বর্তমানে প্রায় সাড়ে চার বছর যাবত স্বচ্ছতার সাথে সময়ের কণ্ঠস্বরের ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত সাংবাদিক রাজু আহমেদ।

রাজধানীর মিরপুরে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে গদবাধা দায়িত্বের বাইরেও সমাজের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কিছু করার দায়বদ্ধতা থেকে বয়সে তরুণ, উদীয়মান,সদালাপী, মিষ্টভাষী ও তড়িৎকর্মা সাংবাদিক রাজু আহমেদ সার্বক্ষণিক নজর রেখে চলেছেন মিরপুরের সাধারণ মানুষ ও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনায়। গোটা মিরপুরবাসী, সাধারণ মানুষের নিকট তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আদরের মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের নিকট রাজু আহমেদ নামটি এক প্রতিবাদী,আতংক ও আপোষহীন নাম।

ইতিমধ্যে মিরপুরে বেশ কয়েকটি বাল্যবিবাহ রোধ, আলোচিত অপরাধের বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ, এলাকার মাদক সমস্যা নির্মূলে ভুমিকা পালনসহ নিজের কর্তব্যনিষ্ঠার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। ব্যতিক্রমী এই উদীয়মান ও তরুণ সাংবাদিকের এসকল উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে সব মহলেই।

তবে সম্প্রতি একটি কুচক্রীমহল মিরপুরের অসঙ্গতিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নানাবিধ মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও হাস্যকর বিষয়াদি উল্লেখ করে ঘৃণ্য অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরে নবগঠিত ও বিতর্কিত মিরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে চম্পা (২৮) নামে এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন,অত্যাচারের বিচারপ্রার্থী হয়ে উপস্থিত হন। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, অসহায় বিচারপ্রার্থী নারীকে কোনো সহায়তা না করে উল্টো সেদিন কার্যালয়ে উপস্থিত প্রেসক্লাবটির বিতর্কিত সভাপতি সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ,স্বঘোষিত ও নামধারী সেক্রেটারী এলাকার চিহ্নিত বিভিন্ন অপরাধী সম্রাজ্যের গডফাদার, এক ডজন মামলার আসামী জাকির হোসেন (কাইল্ল্যা) জাকির, সমাপনী শিক্ষা গণ্ডি না পেরিয়েও নিজেকে সাংবাদিক ও মিরপুর প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক পরিচয়দানকারী এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ মারুফ হায়দারসহ কয়েকজন মিলে চরম মারধর ও নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরের ষ্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদকে বিষয়টি তুলে ধরে একটি সংবাদ পরিবেশন করতে অনুরোধ করে অবর্ণনীয় কান্নাকাটিও করেন। বিচার প্রার্থী অসহায় চম্পা দাবি করেন, তার নির্যাতনকারী স্বামী মীর আক্তারুজ্জামান তারেক দেশেরকণ্ঠ টুয়েন্টি ফোর ডটকম নামক ভুঁইফোঁড় অনলাইন পত্রিকা ও অনিবন্ধিত দেশ নিউজ ডট টিভি নামক ভুঁইফোঁড় ইউটিউব চ্যানেলের প্রকাশক ও সম্পাদক।

সবকিছু শুনে সাংবাদিক রাজু আহমেদ ওই ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ ও দাবির ভিত্তিতে একটি ভিডিও ক্লিপও সংগ্রহে রাখেন। পরে অবশ্য খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ওই ভুঁইফোড় অনলাইন ও অনিবন্ধিত ইউটিউব চ্যানেলের অনুমোদন নেয়া হয়েছে আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর নামক একট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। হাস্যকর এবিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গোটা মিরপুরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাজু আহমেদ জানিয়েছেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটের দিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে মিরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপস্থিত হই। এসময় প্রেসক্লাবটির সেক্রেটারি পরিচয়দানকারী জাকির, প্রচার সম্পাদক পরিচয়দানকারী মারুফ হায়দার আমাকে ডেকে সভাপতি মীর পলাশের রুমে নিয়ে যান। এসময় ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে সে বিষয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন না করার শর্তে তারা কে অনৈতিকভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করে তা গ্রহন করতে চাপসৃষ্টি করেন। কিন্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদাপ্রতিবাদী ও আপোষহীন সাংবাদিক হিসেবে সেই টাকা গ্রহণ না করে প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসার সময় তারা আমার গতিরোধ করে আমার উপর হামলা করেন। হাতাহাতির এক পর্যায়ে কোনভাবেই তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নই বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি

কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় হলো,সেখান থেকে বের হবার ঘন্টাখানেক পরই তাদের অপরাধ ঢাকতে ও আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে উল্লেখিত ভুঁয়া নামসর্বস্ব অনলাইন ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, মিথ্যা পোষ্ট আপলোড করে অপপ্রচার চালাতে প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে সেটি ফেসবুকে শেয়ার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি।

এদিকে তাদের অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিচারপ্রার্থী নারীকে মারধোরের বিষয়টি তুলে ধরে ২০ ডিসেম্বরেে সময়ের কণ্ঠস্বরসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সংগঠনের নামধারী সেক্রেটারী পরিচয়দানকারী এলাকার চিহ্নিত অপরাধী চক্রের গডফাদার হিসেবে ১২ টি মামলার বিবরনসহ জাকির হোসেনের (কাইল্ল্যা জাকির) বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির খবর বাংলাদেশ নামক একটি নামস্বর্বস্ব পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে অপপ্রচার চালানোর মাধ্যমে তাদের অপরাধ ঢাকতে উঠেপড়ে লেগেছে।

অবশেষে মিরপুরের একজন ক্লিন ইমেজের সংবাদকর্মী হিসেবে অপেশাদার, সাংবাদিকক পরিচয়ের আড়ালে মুখোশধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী,চিহ্নিত চাঁদাবাজ,প্রতারক, দেহব্যবসায়ী চক্রের প্রশ্রয়দাতা জাকির হোসেনসহ আমার বিরুদ্ধে এহেন ঘৃন্য অপপ্রচারে লিপ্ত সকল অপেশাদারদের ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও ঘোর প্রতিবাদের পাশাপাশি উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাজু আহমেদ ।