মোঃ খালেদ খান
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় রেজিস্ট্রেশনের টাকা বাকি থাকায় নদমৃুলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার চলমান দাখিল পরীক্ষার এক ছাত্রীর পরীক্ষার প্রবেশপত্র কেড়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দিনমজুর মনির কবিরাজের মেয়ে সারমিন আক্তার (পরীক্ষার রোল নং-২৯৪৪১০) এ বছরের দাখিল পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশনের ২ হাজার ৮শ’ টাকার মধ্যে পরীক্ষার্থী সারমিন ২ হাজার টাকা জমা দেয়। বাকি টাকা পরীক্ষার ১২ দিন পর দিতে চাইলে তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়। কিন্তু নদমূলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ অলিউর রহমান পরীক্ষার ৪র্থদিন রোববার আরবি ২য়পত্রের পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় পরীক্ষার্থী সারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র কেড়ে নিয়ে বলেন “বকেয়া টাকা দিতে পারিস নাই, তোর আর জীবনে পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজন নেই; সোজা বাড়ি চেলে যা”।
ছাত্রী এ সময় সুপারের পা জড়িয়ে কান্নাকাটি করলেও সুপারের মন এতটুকু গলেনি। পরে ছাত্রী মর্মাহত হয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান খোকনের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। তিনিও পরীক্ষার্থীকে তিরস্কার ও ভৎসনা করে বাড়ি চলে যেতে বলে। পরীক্ষার ৫ম দিন গনিত পরীক্ষায় প্রবেশপত্র না থাকায় তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ডুকতে দেয়া হয়নি,
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার দিনমজুর বাবা পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন আগামী তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ভাণ্ডারিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।