জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানিতে বিরোধিতা করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে দুদক।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিনের আবেদন দাখিল করার পর তা আজই রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে দিতে হয়। এ কারণে জামিন আবেদনের কপি সরবরাহ করা হয়।

জামিন আবেদনের কপি পাওয়ার পর দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিনের আবেদনের কপি হাতে পেয়েছি। আবেদনটি পড়েছি। সেখানে তেমন নতুন কিছু নেই। শুধুমাত্র নতুন বিষয় হলো, আবেদনে বলা হয়েছে গত ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে দিনদিন খালেদা জিয়ার শারীরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে তথা ইউকে’তে (যুক্তরাজ্য) নিতে চান।

তিনি বলেন, আদালতে জামিনের আবেদন আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে। সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আইনগতভাবে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এ মামলায় গতবছর ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গতবছর ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদন গতবছর ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এই খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এ অবস্থায় নতুন করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।