ভারতের দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের জেরে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গা-সহিংসতা থেমেছে। তবু কাটেনি ভয়। পুলিশের আশ্বাসে রাস্তায় বের হচ্ছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা। খুলছে দোকান-পাটও। কিন্তু তাদের আতঙ্ক কাটাতে বিভিন্ন রাস্তায় এখনও মার্চ করছে আধা সামরিক সেনা। 

এদিকে, দাঙ্গা-সহিংসতায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। শুক্রবারও হাসপাতালে আরো চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সহিংসতায় বলির সংখ্যা ৪৩। জখম শতাধিক। পুলিশ জানায়, দাঙ্গায় গুরুতর অপরাধ তদন্তে দুটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। দাঙ্গা মোকাবিলায় ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ৭ হাজারের মতো কেন্দ্রীয় প্যারামিলিটারি মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানায় তারা।  

ভারতের রাজধানীর এমন পরিস্থিতিতে বদলি করা হয়েছে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে। নয়া পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দাঙ্গা-সহিংসতায় মদত জুগিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় ১৩০টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনায় আলাদা করে ৬৫টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৬৩০ জন। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে-বিপক্ষে সংঘর্ষ থেকে এ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপর মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরকালেই ওই সহিংসতার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দিল্লি।