করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুক্রবার থেকে ব্রিটেনের সব স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্কুল বন্ধের পাশাপাশি আগামী মে ও জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার সময়ই এই দুর্যোগ মোকাবেলায় লন্ডনের রাস্তায় নামানো হয়েছে কয়েক হাজার সেনাসদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০ হাজার সেনাসদস্যকে।

লন্ডনের ৪০টি পাতালরেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাতে আন্ডারগ্রাউন্ড বন্ধ থাকবে। সুপারস্টোরগুলোও ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা হয়েছে।

পাবলিক বাস-ট্রেন চালু থাকলেও তা সীমিত হয়ে আসবে। শুধুমাত্র ডাক্তার নার্স বা সেবা প্রদানকারীদের জন্য এই গণপরিবহন চালু থাকবে।   

লন্ডনের মেয়র খুব জরুরি না হলে নগরবাসীকে গণপরিবহন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। বড় বড় মসজিদ, গীর্জা বন্ধ করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে বিশিষ্ট ওলামেয়া কেরামগণ সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ থাকবে। বাড়ি ভাড়া ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য ঘোষণা করেছেন প্রণোদনা। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে লন্ডনও লক ডাউনের দিকে যাচ্ছে বলেই ধারণা করছেন সবাই।
 
উল্লেখ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৭১। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জনই ইংল্যান্ডের। আর পরীক্ষার পর ২,৬২৬ জনের মধ্যে করোনার লক্ষণ তথা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজার। তবে করোনার সূতিকাগার চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

এভাবে অন্যান্য ইইউ দেশের মতো লন্ডনও লক ডাউন করা হবে, যদি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটাই সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে রাখার একমাত্র পথ হয়, বলেছে ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র।