দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার করতে প্রতি বিভাগে দ্রুত করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউনিটগুলো স্থাপনের ফলে প্রতিটি বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার হবে। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে বেশি মানুষ কোয়ারাইন্টিনে রাখার প্রয়োজন হলে ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানও প্রস্তুত করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশফেরত প্রতিটি ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকার সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মের অন্যথা হলে দেশের সংক্রামক রোগের নির্ধারিত আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সভায় করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়লে কী উদ্যোগ নেয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জোরালো ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সচিবকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
এ সময় জানানো হয় নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের যোগাযোগের জন্য ১৭টি হটলাইন খোলা হয়েছে।
নম্বরগুলো হচ্ছে- ৩৩৩, ১৬২৬৩, ০১৫৫০০৬৪৯০১, ০১৫৫০০৬৪৯০২, ০১৫৫০০৬৪৯০৩, ০১৫৫০০৬৪৯০৪, ০১৫৫০০৬৪৯০৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা