মোঃ রোমান- ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে অটো রিকশা, মোটর সাইকেল ও রিকশা নিষিদ্ধ রাখতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তৎপর পুলিশ।

ফরিদপুরে মোটর সাইকেল, অটোরিকশা ও রিকশাসহ সকল ছোট যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে জেলা পুলিশ। রোববার সকাল থেকে এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে টহল বসানো হয়েছে পুলিশের। থানা ও ফাড়ির নিয়মিত পুলিশ ছাড়াও ডিবি পুলিশ এ লক্ষ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান (পিপিএম সেবা) জানান, ‘রোববার থেকে আমরা ফরিদপুরে মোটর সাইকেল, অটোরিকশা ও রিকশাসহ সকল ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারো যদি নিতান্তই প্রয়োজন হয় তিনি পায়ে হেটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছবেন। আমরা কোনভাবেই পরিস্থিতিকে আরো ভয়ংকর দিকে নিয়ে যেতে পারি না।’

সরজমিনে আজ রোববার দুপুরে বিভিন্নস্থানে মোটর সাইকেল যাত্রীদের সতর্ক করে দিতে দেখা যায় পুলিশকে। এছাড়া একাধিক লোক একই বাহনে উঠলে তাদের যান আটকে দেয়া হয়। তবে শহরে এখনো বিভিন্ন সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। তবে এরপরেও সীমিত আকারে এসব ছোট পরিবহন চলাচল করছিলো।

তবে মাদারিপুরের শিবচরে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ইতালি প্রবাসীর মৃত্যুর পরে ফরিদপুর জেলাকেও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তখন শিবচর উপজেলা সংলগ্ন ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুরের তিনটি ইউনিয়নকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।

তবে বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর এখন ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজার ঘাটে সামাজিক দুরত্ব না মেনেই জনসমাগম শুরু হয়। অটোরিকশাতেও সামাজিক দুরত্ব না রেখেই গণভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। এতে মারাত্মকভাবে করোনা সংক্রমন ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হয়।

এদিকে, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩১৫ জন। এ নিয়ে সর্বমোট জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাড়ালো ১৭৩২ জন। এরমধ্যে ১৪১৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘন্টায় মুক্ত হয়েছেন ৪২ জন।