ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার লাইফ সাপোর্ট (ভেন্টিলেটর) লাগতে পারে। জানা গেছে, তার মতো আরো অনেকেরই ব্রিটেনে লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৫১ হাজার ছয়শ আট জন। তার মধ্যে এরই মধ্যে মারা গেছে পাঁচ হাজার তিনশ ৭৩ জন। চিকিৎসাধীন ৪৬ হাজার একশ জনের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছে এক হাজার পাঁচশ ৫৯ জন।
গত সোমবারই বরিস জনসনের অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় সেন্ট থমাস হসপিটালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই বর্তমানে তার করোনার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যে কোনো মুহূর্তে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) ডা. ডেরেক হিল বলেন, শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রীর অক্সিজেন মাস্ক এবং ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হতে পারে। করোনা আক্রান্ত বহু রোগীর লাইফ সাপোর্ট লাগছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় শ্বাস নিতে চাপ অনুভব করাসহ একপর্যায়ে হাঁপিয়ে ওঠার কারণে পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আশঙ্কায় চিকিৎসকরা বরিস জনসনকে ভেন্টিলেটর দিতে পারেন বলে আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছেন। আর এই সময়ে রোগীদেরকে তাদের নাকের মধ্য দিয়ে নলের সাহায্যে খাবার দেওয়া হয়।
ডা. ডেরেক হিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে- নারীদের তুলনায় পুরুষরা এবং কমবয়সীদের তুলনায় বয়স্ক এবং দুর্বলরা আক্রান্তের হার বেশি। এমনকি মৃতদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার মানে এই নয় যে, বরিস জনসন একেবারে গুরুতর অবস্থায় আছেন এবং তার প্রাণহানি হতে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সঙ্গে লড়ে এমনিতেই হাঁপিয়ে ওঠে রোগীরা। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে অক্সিজেন মাস্ক দিলে তারা একটু স্বস্তি পাচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে ভেন্টিলেটরও ব্যবহার করা হচ্ছে।