মোঃ রোমান- ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে কোতয়ালী থানা পুলিশের উদ্যোগে গোপনীয়তা রক্ষা করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। গত ৫দিন ধরে গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব মোকাবেলায় ফরিদপুর জেলাকে লগডাউন ঘোষণা না করা হলেও জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মান্য করে জেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

গত প্রায় ১মাস ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর এই মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। ফরিদপুর জেলায় অঘোষিত লগ ডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর কথা ভাবছে না কেউ। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারদের সাহায্যের দাবী জানিয়ে আসছিলো অনেকে। আর সেই মধবিত্ত পরিবারের কথা চিন্তা করে ফরিদপুর কোতয়ালী পুলিশ মধ্যবিত্ত পরিবারদের মাঝে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

কোতয়ালী থানার অফিসিয়াল আইডিতে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং সেকেন্ড অফিসারের মোবাইল নাম্বার দিয়ে পোষ্ট করে বলা হয় যদি কোন পরিবার খাদ্য সংকটে থাকেন তাহলে কোতয়ালী থানার ওসি এবং সেকেন্ড অফিসারের নাম্বারে ফোন দেওয়ার জন্য। আর ফোন দিলেই ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে শতাধিক পরিবারের মাঝে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের উদ্দ্যোগে গোপনীয়তা রক্ষা করে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোর্শেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় ১মাস ধরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পারছে না।তাছাড়া তাদের কাছে মজুদকৃত খাদ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছিলো।আর তাই ফোন কলের ভিত্তিতে মধ্যবিত্ত পরিবারদেরকে গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে। কোতয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার বেলাল হোসেন জানান, এই দূর্যোগপূর্ণ সময়ে সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষদেরকে সবাই সাহায্য করছে অথচ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর দিকে কেউ কোন সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে না। এই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কারো কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছে।আর তাই আমরা কোতয়ালী থানা পুলিশ আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাঁশে থাকার চেষ্টা করছি।