ডিলারের শ্যালকের ভাড়িতে ১০ টাকা কেজির ১৭০ বস্তা চাল নওগাঁয় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরের ১৭০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রাম থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আবু সাইদ। তার ম্যানেজার মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ। তিনি ডিলার আবু সাইদের স্ত্রীর বড় ভাই। মল্লিকপুর গ্রামে আব্দুর রউফের বাড়িতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭০ বস্তা সরকারি চাল অন্য বস্তায় করে রাখা হয়েছিল। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে এ সময় আব্দুর রউফকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ডিলার আবু সাইদ ও ম্যানেজার আব্দুর রউফ যোগসাজস করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালো বাজারে বিক্রির পাঁয়তারা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্ষাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছুজ্জোহা বলেন, চাল দেয়া এখনও শেষ হয়নি। যে পরিমাণ চাল দেয়া হয়েছে এবং যতগুলো কার্ডধারী আছে তা হিসেব করলে পুরো চালের তথ্য পাওয়া যাবে। যদি অনিয়ম হয় তাহলে বুঝা যাবে। এছাড়া চাল গুদামে বা দোকানে রাখতে হবে। কারও বাড়িতে রাখা যাবে না। যদি বাড়িতে রাখে তাহলে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বস্তার চালগুলো ভিন্ন বস্তায় করে রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল জেলার রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের জলকৈ গ্রামে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নয় বস্তা ও ২ এপ্রিল কালিগ্রাম ইউনিয়নের রাতোয়াল গ্রামের শৈলগাড়িয়া পাড়া থেকে ১৩৮ বস্তা এবং ৬ এপ্রিল বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের বিলাশবাড়ী গ্রাম থেকে ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।