করোনাভাইরাস শনাক্তদের মধ্যে শতকরা ৪৬ ভাগ ঢাকার। এরপর নারায়ণগঞ্জে ২০ ভাগ এবং তার পরে গাজীপুরেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম ও মুন্সীগঞ্জেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মিরপুরে।

আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৮৩৮ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আমরা টোলারবাগে বেশি আক্রান্ত দেখেছিলাম। এখন মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল এবং টোলারবাগের পুরোটা এলাকা ধরে যদি আমরা বলি, এটা শতকরা প্রায় ১১ ভাগ। এরপরে রয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকা। সেখানে শতকরা ৪ ভাগ। ওয়ারি এবং যাত্রাবাড়ী এ সমস্ত জায়গায় শতকরা ৪ ভাগ, উত্তরায় শতকরা ৩ ভাগ ও ধানমন্ডিতে শতকরা ৩ ভাগ সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, আক্রান্ত শনাক্তদের মধ্যে বয়স বিভাজনের ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ ভাগ। এরপরে রয়েছে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ ভাগ। আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছে ১৫ ভাগ। আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ পুরুষ।

হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭৫। আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।