মোঃ রোমান- ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) অবশেষে চালু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন অচল হয়ে পড়ে থাকায় ব্যবহারোপযোগী হয়ে পড়েছিল এই ইউনিটটি। করোনা রোগীদের চিকিৎসার তোড়জোড় শুরু হলে নজর পড়ে এই ইউনিটের দিকে। তারপর অচল যন্ত্রপাতিগুলো সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বিশেষ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসায় কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছেন মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেল পর্যন্ত আইসিইউ এর ১০টি ভেন্টিলেটর চালু হওয়ায় এখানে মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে এই হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ২০ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ফমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বলেন, জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি আমরা এই ইউনিটটি চালু করার উদ্যোগ নিতে গিয়ে দেখি সেখানকার ১৬টি ভেন্টিলেশন মেশিন রয়েছে, তবে তার সবই অচল হয়ে আছে। এরপর ঢাকা হতে প্রকৌশলী এনে সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ঢাকা হতে আসা প্রকৌশলীরা এ পর্যন্ত ১০টি ভেন্টিলেটর সচল করতে সক্ষম হয়েছেন। আপাতত এসব শয্যা দিয়েই আমরা এই ইউনিটটি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাকিগুলো পরবর্তীতে মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমানে অচল হয়ে থাকা ৬টি ভেন্টিলেটর সচল করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিদেশ হতে আমদানি করতে হবে। যার জন্য অনেক প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার প্রায় ২০ লক্ষাধিক জনগণের বাইরে বৃহত্তর ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ফমেক হাসপাতালের প্রতি নির্ভরশীল। বর্তমানে এই আইসিইউ চালু হওয়ায় এখানকার অধিবাসীরা উপকৃত হবে। জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছিলো ১৬ শয্যার এই আইসিইউ। এটি দেশব্যাপী বহুল বিতর্কিত ৩৭ লাখ টাকার পর্দাকান্ডের সেই ইউনিট। বর্তমানে এই ইউনিটের মালামাল ক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে দুদকের মামলা চলছে আদালতে। এখানকার মালামাল দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি সেসবের খোজঁ নিতে গেলে সবই অচল অবস্থায় পাওয়া যায়। এর মাঝেই আইনী জটিলতা এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সাথে জরুরী পরামর্শক্রমে করোনা পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে এসব যন্ত্রপাতি সচল করার উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।