করোনা তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য বিশ্বের সকল দেশের সাথে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে চীনের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়েছে। মানুষের জীবন, দুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে এই মামলায়। 

মিসৌরি রাজ্যের কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা ঐতিহাসিক একটি আইনি পদক্ষেপ। রাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্মিত বলেছেন, চীনা সরকার বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলেছে। এই ভাইরাসের বিপদ ও সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি। যারা সতর্ক করার ছিল তাদের মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে। এই রোগটি থামাতে তারা সাহায্য করেনি।

মঙ্গলবারই মার্কিন স্টেট মিসৌরি এই মামলা করেছে। ফেডেরাল কোর্টে মামলা দায়ের করেন সেখানকার অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্মিত। মামলায় বলা হয়েছে, একাধিক মৃত্যু, যন্ত্রণা ও বিপুল আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ী চীন।

স্মিত বলেন, চীন গোটা বিশ্বকে ভাইরাস ও তার ভয়াবহতা নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছে। রোগকে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানোর চেষ্টা করেনি। তার দাবি, চীনের কর্মকর্তারা, গবেষকরা এবং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা প্রত্যেকে ভুল বার্তা ছড়িয়েছে। তথ্য চেপে দেওয়া এবং ভাইরাসের ভয়াবহতা বোঝানো হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

আমেরিকার এই স্টেটে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২১৫। আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৯৬৩। স্মিত বলেন, মিসৌরিতে ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছে করোনা। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ছোট ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। খাবার পাচ্ছেন না অনেকে। 

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, এই ভাইরাসের জন্য চীনকে দায়ী করেছে ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশও। ভাইরাস কোথা থেকে এলো, তা নিয়ে চীন তথ্য চাপছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন জার্মান চান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। তিনি বলেন, চীন গোটা বিশ্বকে করোনাভাইরাস নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস চীন আরো বেশি স্বচ্ছ হবে ভাইরাসের উত্‍স সম্পর্কে। বিশ্বের প্রত্যেকেরই এই বিষয়টা জানা উচিত্‍।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের সংখ্যা তুলনা করা ঠিক না। তার কথায়, চীন যেভাবে সঙ্কটকে আজ নিয়ন্ত্রণ করেছে তার আমি সম্মান করি। কিন্তু এতটাও এখনই বলে দেওয়া ঠিক না যে অন্য দেশের থেকে চীন অনেক ভালো করেছে। অনেক কিছুই ঘটে গেছে যা আমরা পরিষ্কারভাবে জানি না। চীন শিগগিরই তাদের দেশে করোনা সংক্রমণ কমিয়ে এনেছে। কিন্তু ঠিক কতজন আক্রান্ত হয়েছেন এবং কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে।