সানাউল্লাহ (কাতার সাংবাদিক)

এই ঈদে দেশে ফেরা হলোনা প্রবাসীদের
দেশে থাকা পরিবারের সবার সাথে দুই ঈদ উদযাপন করতে পচন্দ করেন প্রবাসীরা।
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যে যারা থাকেন, প্রায় তাদের অনেককে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের সপ্তাহ দিন পূর্বে বাংলাদেশে পাড়ি জমান। আবার কর্মস্থলে ফিরে আসেন ঈদুল আজহা’র সপ্তাহ দিন পর। কিন্তুু এবার ঈদুল ফিতরে দেশে ফেরা হলোনা প্রবাসীদের। বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের তান্ডব ঠেকাতে পৃথিবীর এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা এবার দেশে ঈদ উদযাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ কাতারে গতবছর ঈদুল ফিতরের সময় দেখা যায়, বিশ রমজান চলাকালীন সময়ে দোহা থেকে ঢাকা ফেরার বিমানের টিকেট হাতে পাওয়া যেন একটি সোনার হরিন, কারণ এর পূর্বেই মোটামুটি প্রায় এয়ারলাইনসের টিকেট বিক্রি শেষের দিকে থাকে। এদিকে আসছে ঈদুল ফিতর হয়তো প্রবাসীরা স্বস্ব দেশে এবারের ঈদ উদযাপন করবেন।

কাতারের আল-ওয়াকরা এলাকায় বসবাস করেন আব্দুর রাজ্জাক রহমান মুন্সী জানান, প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে কখনো ঈদ উদযাপন করি নাই। এবার প্রথম প্রবাসে ঈদ উদযাপনের অভিজ্ঞতা হবে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে এবার দেশে যেতে না পারায় আমার পরিবারের সবাইকে খুব মনে পড়বে। তবে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ উৎসব করতে পারলে বেশি খুসি হতাম।

এছাড়া প্রবাসীরা যখন দেশে ছুটি শেষে প্রবাসে ফিরে আসেন অনেক আনন্দ এবং দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সৃতি নিয়ে, তখন তাদের মধ্যে নতুনভাবে কাজে যোগদানে চাঞ্চল্যতা দেখা যায়। এবারের বিষয় পুরোই উল্টো চিত্র, নেই কোন ঈদের আমেজ এবং সারাদিন রোজা থেকে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন যাপন করছেন কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এখনো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, এ যেন থামতেই চাইচে না। কবে নাগাদ এই করোনা পরিস্থিতির অবসান হবে, কখন করোনা ভাইরাস মুক্ত একটি সকাল শুরু হবে!
এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বর্তমানে কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিন যাপন করছেন তারমধ্যে বাংলাদেশী মালিকানাধীন ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। দোহার নামাজমায় অবস্থিত ট্রাভেল চ্যানেল এন্ড ট্যুর এর সিইও মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, করোনা ভাইরাসের আমাদের ব্যবসা একদমই থেমে আছে, তবে থেমে নেই দোকান ঘর ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল এবং পানির বিল। এছাড়া তিনি বলেন, গতবছর যেখানে কাতার থেকে রমজানের ঈদ উদযাপন করতে প্রায় এক লক্ষেরও অধিক মানুষ বাংলাদেশে যেতো সেখানে এই বছর একজনও যেতে পারছেনা, সকল ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ রয়েছে।
কাতারস্থ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার রেজাউল আহসান জানান, করোনা ভাইরাসের অদ্ভুত এক ভয়ে ঘর থেকে খুবই কম বের হচ্ছি, মাঝে মাঝে নিজজের বিমান বাংলাদেশ অফিসে খুব প্রয়োজন যেতে হয়। এছাড়া ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায়, ইচ্ছে থাকা সত্বেও দেশে যেতে পারছিনা। এই ঈদুল ফিতরে পরিবারের সবাই খুব মিস করবো।