ভারতে সম্প্রতি প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগামী ৩০ জুন দেশটিতে লকডাউন কার্যকর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ছাড়া সব জায়গায় আগামী ৮ জুন থেকে শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
আজ শনিবার এনডিটিভি খবরে বলা হয়, সরকারের দেওয়া নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ১ জুন ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত চলমান থাকবে নতুন লকডাউন।
ভারতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলমান রয়েছে। দেশটিতে চতুর্থ লকডাউন ৩০ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এর মধ্যে দেশটিতে পঞ্চম লকডাউন ঘোষণা করল ভারত সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, রাজ্য ও বিভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে বিচার বিবেচনা করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ৮ জুন থেকে সমস্ত ধর্মীয় ক্ষেত্র, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে, তবে কন্টেনমেন্ট এলাকা এখনও মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বাধা নিষেধ। দেশের অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে জনজীবনকে স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে। তবে মেনে চলতে বেশ কিছু বিধি নিষেধ।
এদিকে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ২৬৫ জনের মৃত্যু এবং ৭ হাজার ৯৬৪টি নয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। একদিনে মৃতের সংখ্যার নিরিখে এটিই সবচেয়ে বেশি। এর একদিন আগেই তুরস্ককে পেছনে ফেলে এশিয়ার মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে ভারত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৯৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৩ জন। সুস্থ হয়েছে ৮২ হাজার ৩৭০ জন। আজ (শনিবার) সকাল ৮ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে ওই তথ্য জানা গেছে।
করোনায় মৃতের সংখ্যায় বরাবরই এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৩ জন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে করোনায় এ পর্যন্ত ৯৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ২০ জন মারা গেছে। সেখানে ৬ হাজার ৩৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে এ পর্যন্ত ৩৯৮ জন মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে ৯ হাজার ১৪২ জন আক্রান্ত। আর পশ্চিমবঙ্গে এপর্যন্ত ৩০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৭ জন মারা গেছে। সেখানে এপর্যন্ত ২ হাজার ৭৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।