মিজানুর রহমান স্বাধীন

উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক টকশোর বুদ্ধিজীবি প্রতারক শাহেদের অপরাধ নামা গেল দু’বছর ধরে ছাপা হয়েছিল শুধু অপরাধ বিচিত্রায়। কিন্তু কেউ কর্নপাত করেনি, আজ র‍্যাবের জালে বন্দী হওয়ায় সকলেরই মুখে প্রতিবাদের ভাষা, গত দু বছর আগে অপরাধ বিচিত্রায় শাহেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর তখন যদি প্রতিবাদের ঝড় উঠতো তাহলে গত দু’বছরে প্রতারিত হওয়া মানুষগুলো এই প্রতারক এর হাত থেকে রক্ষা পেত।

গত দুবছর ধরে প্রতারক সাহেদের প্রতারণা নিয়ে একের পর এক অপরাধ বিচিত্রায় সংবাদ প্রচারের পরেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কিছু সংবাদকর্মী নিজেদের জীবন বাজি রেখে সংবাদ সংগ্রহ করে বড় বড় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে, অথচ এরপরেও অপরাধ দমনের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেসকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়।

এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পরেও কিছু মিডিয়া এদেরকে আরো তেলবাজি করে উপরে ওঠার সিঁড়ি বানিয়ে দেয়, যখন বড় বড় মিডিয়া এদেরকে প্রাধান্য দেয় তখন ছোট ছোট মিডিয়া চুপসে যেতে বাধ্য হয়।

যে সকল ব্যক্তি অথবা মিডিয়া এসকল অপরাধীদেরকে উপরে ওঠার সিঁড়ি বানিয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে কি আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৬ সালে প্রতারকের তকমা পেয়েছিল শাহেদ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শাহেদের অপরাধের ফিরিস্তি পাঠানো হয়েছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কিন্তু শাহেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা পত্র অন্তরালেই থেকে যায়। প্রশ্ন:-৪ বছরে গ্রেফতার এড়াতে যাদের ছত্রছায়ায় ছিল শাহেদ তাদের বিরুদ্ধে কি আদৌ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।

পাপিয়া কিংবা শাহেদের মত বড় বড় অপরাধীদের ছায়া দান করা গাছ গুলোকে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে ব্যর্থ হলে একের পর এক শাহেদ কিংবা পাপিয়া জন্ম নেয়াটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া দিন থাকবে।

অপরাধীদের গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে অনুরোধ জানিয়ে জনগণের পক্ষ থেকে সময়ের দাবি।