কুমিল্লা জেলার,দেবিদ্বার থানার,রসুলপুর ইউনিয়নের ঝিনাইয়া গ্রামের মরহুম হাজী আলী আকবর মুন্সীর কনিষ্ট পুত্র এবং হাজী আব্দুল লতিফ মুন্সী ও কাদের মিয়া মুন্সীর স্নেহভাজন ছোট ভাই আব্দুল মতিন মুন্সী-৫৪ (ওরুফে মরকা মতিন)ও তার ২য় ছেলে মো:জহিরুল ইসলাম শরিফ মুন্সী-২৭ (ওরুফে হুন্ডি শরিফ)রাতের আঁধারে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ও গুম করার প্রয়াসে গত ৭ জানুয়ারী ২০২০ রাত আনুমানিক ৭.৩০ ঘটিকায় বাড়ির উঠোন দিয়ে রাস্তায় হেটে যাওয়া সময় এক যুবকের উপর পেছন থেকে অতর্কিত হামলা করে ।
হামলার শিকার যুবকটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলে মরকা মতিন ও হুন্ডি শরিফ তাকে টেনে ঘরের মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করেন ।আর ঐ সময় হুন্ডি শরিফের সাহায্যকারী হিসেবে আরো ৫/৬ জন ঘটনাস্হলে সাহায্য করেন।
রক্তাক্ত ও জ্ঞানহীন যুবকের নাম সাইফুর রহমান শুভ -২৩ অধ্যয়নরত অনার্স তৃতীয় বর্ষ।পরে পাশের ঘরের লোকজন বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্হল ত্যেগ করেন হুন্ডি শরিফ ও মরকা মতিন ।এলাকাবাসির ভাস্যমতে হুন্ডি শরিফের আরো একটি পরিচিত নাম খোজে পাওয়া গেছে (চাকা মিয়া )উল্লেখ্য হুন্ডি শরিফ (ওমান)বিদেশে যাওয়ার আগে এলাকায় কয়েকটি কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটান ।
রাতের আঁধারে এবং পিছন থেকে মতিনের আক্রমণে বর্ণনা :
- মসজিদের ইমামকে মেরে জঘম করার জন্য লালা গামছার শাস্তি।
- মরহুম আব্দুল মান্নান মুন্সীর স্ত্রী মোর্শেদা বেগম কে (আপন চাচী) পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করেন মতিন নিজেই।
- বিনা কারনে আসাদ সরকার বাড়ির মরহুম ধনু মিয়া দ্বিতীয় ছেলে মাহাবুব সরকারকে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলা।
- দোকানদার অহেদ আখন্দের ২য় ছেলে ডাঃ মোঃ মমিন হোসেন আখন্দকে রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে মতিন ও তার ছেলে শরিফ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
- লাল মোহন সরকার বাড়ির মরহুম জিন্নাত আলীর ছেলে আবুল হোসেনকে রাস্তায় হাঁটা অবস্থায় মায়া লাঠি দিয়ে আঘাত করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়।
- আসাদ সরকার বাড়ির মরহুম মান্নান সরকারের ছেলে রফিক সরকারকে ও রাস্তায় হেঁটে যাওয়া অবস্থা পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে মতিন। উল্লেখ্য মতিন ও তার ছেলে দ্বারা একই এলাকার ও বাড়ির অনেক নারী লান্চিত হওয়ার ও অভিযোগ আছে ।
একদিকে মতিন অন্যদিকে শরিফ এ যেন ত্রাসের রাজত্বের দুই সাহসী রাজা ।সালমান-৩৮(ছদ্বনাম) আমাদের জানিয়েছেন মতিনের যন্ত্রনায় মসজিদের ইমাম থেকে মুসল্লি ,দোকানদার,পুকুরে গোসল করতে আসা মহিলারা,পাশের জমির মালিক অতিষ্ট ।
যে কোন কিছুতে তার বড় দুই ভাইয়ের দোহাই ও টাকার বিনিময়ে সব আইনকানুন,চেয়ারম্যন,ওসি,ডিসি,এসপি,এমপি কিনে ফেলার মত হুংকার দেয় ।লোকসমুক্ষে বলে বেড়ায় আওয়ামিলিগ যত দিন আছে তাহার বিচার কেউ করতে পারবে না । আরেক এলাকাবাসী জানান মতিনের জন্য বুড়ির পার নামের পাশের গ্রামের সাথে অযথা আমাদের মারামারি করতে হয়েছে।
কুরবানীর ঈদে পাশের বাড়ির মানুষের সাথে গরু জবাই নিয়ে রক্তাক্ত অবস্হানে যায় দুই বাড়ি (সরকার বাড়ি) ও মুন্সী বাড়ি -যার হুতা মতিনের তৈরী করা ছেলে জহিরুল ইসলাম শরিফ(ওরুফে হুন্ডি শরিফ) মমতা বেগম -৭০(ছদ্বনাম) আমাদের জানান মতিনের এই ছেলে বিদেশে যাওয়ার আগে মতিনকে ও মারছে এবং মতিন ও তার চাচি মৃত :আব্দুল মান্নান মুন্সীর স্ত্রী কে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল এবং মতিনের আরেক চাচা জনাব মৃত সিরাজুল ইসলামের গালে চড় দিতে গিয়েছিলেন। এবং মতিনের ছোট চাচা জনাব মৃত খালেক মুন্সী ও বাদ যায়নি ঐ কুলাঙ্গার মরকা মতিনের হাত থেকে । উক্ত ঘটনাটি কুমিল্লা জেলা আদালতে চলমান অবস্হায় রয়েছে ।
ঘটনার দিন রাত থেকে আসামিদ্বয় পলাতক ছিলেন টানা ৪৬ দিন এবং এরি মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন এনে দেশের বাহিরে পালিয়ে যায় মামলার ১ নং আসামি হুন্ডি শরিফ-(ওমান) এবং ওমানে পালিয়ে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বাদি পক্ষকে হুমকি দিয়ে আসছে এবং যার প্রমানপত্র দেবিদ্বার থানায় জমা দেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছেন মামলার বাদি ফয়সাল আহমেদ এবং তিনি আমাদের আরো জানান সিআইডি তে যোগাযোগ করা হয়েছে তথ্য দেয়া হয়েছে যে কোন দিন আইসিটি আইনে মামলা করা হবে আমরা ঐ দিকে প্রস্তুতি নিচ্ছি ।
এ ব্যপারে যোগাযোগ করলে দেবিদ্বার থানা আমাদের জানিয়েছেন আগের মামলাটি চলমান ও পরের সব তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত । মামলার বাদি ফয়সাল আহমেদ আমাদের জানান ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে তার মা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন আব্দুল মতিন মুন্সীর বড় ভাই জনাব আব্দুল লতিফ মুন্সীকে এবং তখন লতিফ মুন্সী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন মতিন সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা তোমরা যা করতে মন চায় কর ।
তার ৭ দিন পর থেকে ঐ একই ব্যক্তি জনাব আব্দুল লতিফ মুন্সী বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে মিমাংসার প্রস্তাব পাঠায় ।এতে কোন সৎউত্তর না পাওয়ার কারনে তিনি তাদের আত্বিয়ের হস্হক্ষেপ কামনা করেন এবং বিষয়টি ন্যক্কারজনক হওয়ার ফলে কেউ সাড়া দেয়নি ।এমনকি গ্রামবাসীরা ও এই পরিবারটির উপর বিরক্তি প্রকাশ করছে ।