মো: দিপু, শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীয়তপুরের ৬ উপজেলার ৪০ ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি এবং পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পদ্মার পানি শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আরও ৪-৫ দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তার।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের ৪টি স্থান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সড়কের আরও ১৫টি স্থানে পানি প্রবেশ করছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোনও সময় এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সরজমিনে জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, দুই উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া জাজিরা ও নড়িয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান তিনটি সড়কের একাধিক স্থান পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জাজিরা উপজেলার
বিলাস কান্দি, বড়কান্দি, নাওডোবা,পালেরচর, কুন্ডেরচর, এবং নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর, নশাসন,চরআত্রা, কাঁচিকাটা,ও রাজনগর ইউনিয়নের অধিকাংশ বাড়িতেই পানি উঠেছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় নিজেরা কোনোরকম থাকতে পারলেও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার বন্যা কবলিতদের জন্য ইতোমধ্যেই দেড়শ মেট্টিক টন চাল এবং এক হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত অসহায়দের তালিকা করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী অসহায়দের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।