**পত্রিকায় আসামী বিজ্ঞাপন দেয় যে, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কানাডার সিটিজেন ডিভোর্সি সন্তানহীন ৩৭-৫’-৩”নামাজি পাত্রীর জন্য ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্র চাই। যোগাযোগের জন্য ঠিকানা-২৩/২/এ বারিধারা, মোবাইল নং-০১৩০৯২৫৪৯৯২-এ যোগাযোগ করতে বলেন। উক্ত বিজ্ঞাপন দেখে ভিকটিম মোঃ নাজির হোসেন মোবাইলে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে সর্বপ্রথম গত ইং-১২/০৭/২০ তারিখ গুলশান-২ এর থাই সিগনেচার নামীয় রেষ্টেুরেন্টে দেখা করেন এবং প্রাথমিকভাবে ১৫,০০০০/-টাকা ও পাসপোর্ট প্রদান করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী সাদিয়া জান্নাত@জান্নাতুল ফেরদৌস ভিকটিমকে জানায় তার কানাডায় ২০০(দুইশত)কোটি টাকার ব্যবসা আছে, “কানাডায় অনেক শীত তুমি থাকতে পারবা না, আমার টাকাগুলো তোমার নামে বাংলাদেশে নিয়ে আসি, তুমি ব্যবসা করবা ওই টাকা দিয়ে” এই প্রলোভন দিয়ে ভিকটিমের নিকট হতে বিভিন্ন তারিখে ট্যাক্স/ভ্যাট/ডিএইচএল বিল ইত্যাদির খরচের কথা বলে সর্বমোট ১,৭৯,৫০,০০০/-(এক কোটি উনআশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এই বিষয়ে সিআইডি‘তে অভিযোগ জানানোর পর আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। একপর্যায়ে আমরা দেখতে পাই এইভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনেক ভিকটিম কানাডার যাওয়ার জন্য আসামীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেন এবং দেখা করেন। এভাবে এই চক্র পাঁচ লক্ষ/দশ লক্ষ/পনের লক্ষ/আঠার লক্ষ/বিশ লক্ষ করে অনেকের কাছ থেকে অনুমান ২৫/৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের মূল হোতা সাদিয়া

জান্নাত@জান্নাতুল ফেরদৌস‘কে ইং-১৭/০৯/২০২০ তারিখ বিকালে বনানী এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামীর নিকট হতে ০৩(তিন)জন ভিকটিমের পাসপোর্ট, ১০(দশ)টি মোবাইল ফোন, ০৩(তিন)টি মেমোরি কার্ড, ০৭(সাত)টি সীল, অসংখ্য ব্যবহৃত সীম ও হিসাবের খাতা সহ গত ইং-০২/০৯/২০২০ তারিখে ব্যাংক এশিয়ায় ৪৮,০০০,০০/-(আটচল্লিশ লক্ষ)টাকা জমা দেওয়ার স্লীপ উদ্ধার করা হয়। বর্নিত আসামী প্রায় ১০(দশ)বৎসর যাবৎ এইভাবে অসংখ্য ভিকটিমের সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে তাহার হিসাবের খাতা পর্যালোচনায় প্রতিয়মান হয়। দেবিদ্বারের মেয়ে জান্নাত এসএসসি পাশ না করলেও পোষাক এবং কথা বার্তায় স্মার্টনেসের কারনে কানাডা প্রবাসী বলে লোকজনের বিশ্বাস জন্মাতে সমর্থ হয়। ১ম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২য় স্বামীকে(যে নিজেও এই প্রতারক চক্রের সদস্য) নিয়ে এই প্রতারনা শুরু করে। বর্নিত চক্রের সদস্যদের ঢাকা সহ ঢাকার আশে পাশে প্রায় ২০(বিশ) কোটি টাকার জমি সহ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্নিত আসামীর নিজ হাতে লেখা ২০১৫/১৬ সালের হিসাবের খাতায় কোন কোন ভিকটিমের নিকট হতে কতবারে কি পরিমান টাকা নিয়েছে, উহার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। বর্নিত আসামী ভিকটিমদের নিকট হতে টাকা নেওয়ার পর মোবাইল ও সীম পরিবর্তন করে থাকে।