মোহাম্মদ দিপু: শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকরে প্রতিবেশীর এক পুরুষ দ্বারা ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ধর্ষক সালামত সরদার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। জানাগেছে, এক বছর পূর্বে অভাবের তারনায় রুদ্রকর ইউনিয়নের মাকসাহার গ্রামের নানাবাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবার। সেখানকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পড়ালেখাও শুরু করছিল ওই কিশোরী। গত ৭ মার্চ রাতে প্রতিবেশী ঘরে টিভি দেখতে গেলে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মন্নান সরদারের ছেলে সালামত সরদার। পরবর্তীতে ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরী ছাত্রীকে আরও অনেকবার ধর্ষণে বাধ্য করে ধর্ষক সালামত। ইতোমধ্যে মেয়েটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষিতা ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। ধর্ষিতা জানায়, ৬ মাস পূর্বে সে টিভি দেখার জন্য প্রতিবেশী সালামত সরদারের ঘরে যায়। সেখান থেকে টয়লেটে গেলে ধর্ষক তার মুখ চেপে ধরে পাশর্^বর্তী গোসল খানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে এর পরেও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানির পর চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত সালামত সরদার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ধর্ষকের স্ত্রীর দাবী, তার স্বামী নির্দোষ। মিথ্যা ভাবে ফাঁসানো হয়েছে তাকে। ধর্ষিতা কিশোরী ছাত্রীর মা জানায়, ঘটনা জানাজানি হলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে ধর্ষক সালামত সরদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করছেন তিনি।