মাসুদ রানা:

বগুড়ার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আলীম দীর্ঘদিন যাবত কাঁচপুরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ওপেক্স সিনহা টেক্সটাইল লিমিটেড কোম্পানির হেড অব ডিজিএম পদে কর্মরত ছিলেন,কিশোরগঞ্জের মেয়ে দীপা আক্তার এর সাথে রং নাম্বারে পরিচয় হয় আব্দুল আলীমের সঙ্গে ।দীর্ঘ এক বছর প্রতি নিয়ত তাদের মোবাইলে কথা বার্তা এরপর দেখা শুনা।কখন যে মনের অজান্তেই একজন আরেকজন কে পছন্দ করে পেলে ভেবে পায়নি তারা স্থির করে বিয়ে করবে ।সুকৌশলে বিবাহিত আব্দুল আলীম মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আগের বৌ কে না জানিয়ে সাভারে একটা কাজী অফিসে দীপা আক্তার কে ইসলামী শরীঁয়ত মোতাবেক পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার (৫,৫০০০০)টাকা কাবিন দিয়ে দীপা আক্তার কে বিয়ে করেন।বিয়ে করে আব্দুল আলীম নিজ বাসা নিয়ে যায় দীপা আক্তার কে।সুকৌশলে দীপাকে বরন পোষন না দিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আব্দুল আলীম।কেননা পাগলের মতো স্বামী আব্দুল আলীম কে ভালোবাসতেন স্ত্রী দীপা আক্তার । কিন্তু সব কিছুর একটা মাত্রা থাকে শত দুংখ কষ্ট দেওয়ার পর ও স্ত্রী দীপা আক্তার তাকে কোনো রকম বরন পোষন দেওয়ার পেসার দেয় না ।কারন দীপা আক্তার স্বামী আব্দুল আলীম কে মনে প্রানে অনেক ভালো বাসে ।কিন্তু দুংখের বিষয় হলে ও সত্যি যে দীপা আক্তার এর মতো আব্দুল আলীমের আরেক বৌ থাকা সত্তেও আব্দুল আলীম পাশের বাসার অন্য মেয়ের সাথে অবাদে মেলা মেশা করে যাহা দীপা আক্তার কোনো ভাবে সহ্য করতে পারে না ।যখনি দীপা আক্তার প্রতিবাদ করে একটু নড়া ছড়া দিয়ে বসে উঠে দীপা আক্তার কোনো কিছু বুজার আগে স্বামী আব্দুল আলীম দীপা কে তালাক নোটিস পাঠায়।যাহা দেখে দীপা আক্তার হতাশ হয়ে পড়ে ।তালাক দেওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতে আব্দুল আলীম বিভিন্ন কৌশলে দীপা’কে মানসিক চাপে পেলে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে ।কুলকিনার না পেয়ে আইনের আশ্রায় নেয় দীপা আক্তার ।উক্ত বিষয় নিয়ে দীপা আক্তার ডেমরা থানায় ধর্ষক আব্দুল আলীম এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১)ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন ।নিয়মনুযায়ী দীপা ৩০আক্টোবর ২০ ইং তারিখ হতে ৩০ অক্টোবর ২০ ইং পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে ওসিসি তে চিকিৎসাধীন থেকে সকল ডকুমেন্ট দিয়ে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং-৪৯(০৯)২০ বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।প্রতিনিয়ত দীপা ধর্ষন হওয়ার সকল আলামত পাওয়ার পর ও ১১ অক্টোবর ২০ ইং তারিখে উক্ত মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসেন ও তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম দীপা কে সন্ধ্যায় থানা ডেকে নিয়ে বলে তোমার ধর্ষেনের কোনো আলামত পাওয়া যায় নি।যাহা শুনে দীপা আক্তার হতবাগ হয়ে পড়ে অথচ নারী ও শিশু নির্যাতন এর দায়ের করা মামলায় ধর্ষক আব্দুল আলীম জেল হাজতে আছেন ।যাহা শুনার জন্য কখন ও প্রস্তুত ছিলেন না দীপা আক্তার।হতাশা গ্রস্ত দীপা আক্তার কোনো কুল-কিনার না পেয়ে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন।কয়েকবার বাসে নিচে ঝাপ দিয়ে ও স্থানীয় লোক জনের কারনে বেঁচে যায় দীপা আক্তার। দীপা আক্তার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের অনেক সম্মান দিয়েছেন তাদের নির্যাতনে কঠোর আইন করেছেন।দীপা আক্তারের একটাই চাওয়া ধর্ষক আব্দুল আলীমের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে তার দ্রুত ক্ষতি পুরন দেওয়ার ও দাবী জানিয়েছেন ।সর্বশেষ দীপা আক্তার বলেন,আমি একজন নারী হয়ে বলতে চাই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ডের আইনটি যথাযত কার্যকর হোক যাতে করে সমাজে আমার মতো কোনো নারীর এমন পরিনতি না হয়।