মোঃ আব্দুল হান্নান ক্রাইম, রিপোর্টার সিলেট

২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার কোনাগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহান এর পুত্র গাজীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াত সেক্রেটারি শফিকুল আলাম রনি (৩২) কে সামাজিকভাবে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে করেন সিলেট জেলার শাহপরান থানার টুলটিকর ফুল ভাগ এলাকার মোঃমছব্বির আহমেদের মেয়ে মরিয়ম বেগম লাভলী (২৭) বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে বছরখানেক থাকার পর অভাব-অনটনের কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজন অলিপুর প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করতে শুরু করেন, দুই তিন মাস পর স্বামী রনি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে এলএলবি লেখাপড়া শুরু করে, লাভলী খুশিমনে একটানা দুই বছর প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করে উপার্জিত টাকা মাসের মাস স্বামী রনিকে দিয়ে দেয়। একপর্যায়ে রনি এলএলবি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে বলে লাভলীকে ফুসলিয়ে সৌদি আরব পাঠানোর প্রস্তাব দেয় রনির প্রবাসী বোন ভাবির অনুরোধে লাভলী সৌদি আরব চলে যায়। প্রভাস কালীন সময়ে মাসের বেতন মাসে মাসে স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং নিয়মিত স্বামীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে দুই বছর পর লাভলী দেশে আসলে তার স্বামী রনি এয়ারপোর্ট থেকে লাভলীকে রিসিভ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন লাভলী বাড়িতে আসার পর দেখতে পান ছোট একটি শিশু বাচ্চা সহ এক যুবতী মহিলা মরিয়ম আক্তার লাভলী মহিলা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করলে তার স্বামী রনি জানায় এ মহিলা আমার ঊষা এনজিওর ম্যানাজার মহিলাটিকে তার প্রতিষ্ঠান ঊষা এনজিওর পরিচয় দিলেও পাড়া-প্রতিবেশীর মাধ্যমে লাভলী জানতে পারে ওই যুবতী তার স্বামীর বিবাহিত স্ত্রী এবং শিশু সন্তান তার স্বামীর, লাভলী প্রতিবাদ জানায় স্বামীর সুখের জন্য দুই বৎসর অলিপুর চাকরি করে সৌদি আরব দুই বছর চাকরি করে সাকুল্য টাকা পয়সাই স্বামীর হাতে সঞ্জয় দিয়েছি আমার কষ্টের টাকা দিয়ে দিয়ে স্বামীর উনি তৃতীয় সংসা

বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে বছরখানেক থাকার পর অভাব-অনটনের কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজন অলিপুর প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করতে শুরু করেন, দুই তিন মাস পর স্বামী রনি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে এলএলবি লেখাপড়া শুরু করে, লাভলী খুশিমনে একটানা দুই বছর প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করে উপার্জিত টাকা মাসের মাস স্বামী রনিকে দিয়ে দেয়। একপর্যায়ে রনি এলএলবি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে বলে লাভলীকে ফুসলিয়ে সৌদি আরব পাঠানোর প্রস্তাব দেয় রনির প্রবাসী বোন ভাবির অনুরোধে লাভলী সৌদি আরব চলে যায়। প্রভাস কালীন সময়ে মাসের বেতন মাসে মাসে স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন এবং নিয়মিত স্বামীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে দুই বছর পর লাভলী দেশে আসলে তার স্বামী রনি এয়ারপোর্ট থেকে লাভলীকে রিসিভ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন লাভলী বাড়িতে আসার পর দেখতে পান ছোট একটি শিশু বাচ্চা সহ এক যুবতী মহিলা মরিয়ম আক্তার লাভলী মহিলা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করলে তার স্বামী রনি জানায় এ মহিলা আমার ঊষা এনজিওর ম্যানাজার মহিলাটিকে তার প্রতিষ্ঠান ঊষা এনজিওর পরিচয় দিলেও পাড়া-প্রতিবেশীর মাধ্যমে লাভলী জানতে পারে ওই যুবতী তার স্বামীর বিবাহিত স্ত্রী এবং শিশু সন্তান তার স্বামীর, লাভলী প্রতিবাদ জানায় স্বামীর সুখের জন্য দুই বৎসর অলিপুর চাকরি করে সৌদি আরব দুই বছর চাকরি করে সাকুল্য টাকা পয়সাই স্বামীর হাতে সঞ্জয় দিয়েছি আমার কষ্টের টাকা দিয়ে দিয়ে স্বামীর উনি তৃতীয় সংসার করেছে আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা ওই স্ত্রীকে বিদায় করতে হবে নতুবা আমি স্বামীর সংসার করবো না আমার প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করা দুই বছরের টাকা সৌদি আরবের 2 বছরের টাকা সহ কাবিনের টাকা এবং আমার আসবাবপত্র মিলিয়ে দিয়ে দিলে আমি সংসার ছেড়ে চলে যাব আমার স্বামী রনি জানান ওকে বিদায় করতে হলে পাঁচ লক্ষ টাকা আমাকে দিতে হবে আর না হয় কষ্ট করে সতীনের সংসার করতেই হবে লাভলী সতীনের সংসার মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয় তখন রনি বলে সে নরসিংদী আরেকটি বিয়ে করেছিল স্ত্রীর নাম মৌসুমী মেয়ের নাম আরবি ওই স্ত্রীকে বিদায় করতে গিয়ে যত টাকা খরচ হয়েছে সমস্ত টাকা দিয়েছে তার তৃতীয় স্ত্রী সে একই ইউনিয়নের টেকারঘাট গ্রামের লাইস মিয়ার মেয়ে কে আক্তার সৌরবি সে আমার পোষা এনজিও সমিতির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে উনাকে বিদায় করতে হলে 5 লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে লাভলী পাঁচ লক্ষ টাকাও দিতে পারবে না সতীনের ঘর সংসার করবে না এ বিষয়াদি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ঝাটি শুরু হয় এক পর্যায়ে তার স্বামী রনি পারিবারিক আত্মীয়-স্বজনসহ মরিয়ম আক্তার লাভলী কে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় মরিয়ম বেগম লাভলী নিরুপায় হয়ে স্থানীয় মেম্বার আজাদ মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে বিষয়টি অবগত করলে স্থানীয় মেম্বার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ উভয়পক্ষের মুরব্বিয়ান নিয়ে সামাজিক সালিশ বৈঠকে বসে উভয়পক্ষের কথাবার্তা শুনে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা করে পূর্বের ন্যায় ঘর সংসার করার অনুরোধ করেন, শফিকুল আলাম রনি মুরুব্বীয়ানদের অনুরোধ অমান্য করে বিষয়াদি এড়িয়ে যান মরিয়ম বেগম লাভলী নিরুপায় হয়ে মুরুব্বীয়ান দের সাক্ষী রেখে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত সিলেট সি আর মামলা দায়ের করেন প্রথম মামলার নাংসি আর ২৬৯ /২০২০ দ্বিতীয় সিআর মামলা নং ২৬৮ /২০২০ উপরোক্ত মামলা দুটি তদন্তাধীন আছে