মোঃ আঃ হান্নান
ফুটফুটে বেড়ে ওঠা তিনটি সন্তানকে দেখলে যে কেউ বলবে ‘ নাসির মিয়া তোমার দুঃখ আর বেশি নেই। মাশাআল্লাহ তোমার সন্তানরা বড় হয়েছে দেখতে-শুনতেও বেশ।’ বড় সন্তানটি কন্যা। নাম, সালমা ছিদ্দিকা মিননি। বয়স ১৯ বছর। দেখতে ভাল লাগার পাশাপাশি স্বভাব চরিত্রও বেশ। দ্বিতীয় সন্তান পুত্র । নাম, মোতাসিন আহমেদ রনি। বয়স তার ১৭ বছর। দৈহিক গঠন বেশ সুন্দর। কনিষ্ঠ সন্তানটিও পুত্র। নাম, মোজাম্মেল আহমেদ সানি । বয়স ১৫ বছর। দৈহিক গড়ন ও চেহারা বেশ সুন্দর। কিন্ত যে সন্তানরা কোনোদিন
মাকে মা আর বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারেনি তারা কি পারবে রিকশাচালক পিতা ও তার সহধর্মিণীর দুঃখ লাঘব করতে? ওরা যে কথাই বলতে পারে না। স্রষ্টা তাদেরকে বাকশক্তি দেননি। তাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাবা-মা’র ভাবনাও। বাবা উপার্জনক্ষম হয়ে পড়লে তার সন্তানরা কিভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবে এই ভাবনা এখন দম্পতির। ওরা সবাই যে এখনো অবুঝ শিশুর মতই। তাদের চিন্তা-চেতনা বা মানসিক বিকাশের কোনো লক্ষণই দেখছেন না তাদের বাবা চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ছয়শ্রী গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র রিকশাচালক নাসির মিয়া। যদিও প্রতিবন্ধী হিসাবে তিনজনই সরকারি ভাতা পাচ্ছে তা তাদের ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতিবন্ধী তিন সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন তাদের বাবা নাসির মিয়া ও মা আম্বিয়া খাতুন।