মিয়ানমারের সামরিক সরকার, ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে ছয় লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। এ ছাড়া সরকারে থাকাকালে সোনা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সামরিক সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক ব্যক্তিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন টুন বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ আরো কয়েকজন কেবিনেট সদস্যও এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এ অনিয়মের বিরুদ্ধে দেওয়া সেনাবাহিনীর রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনো রকম ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে চাপ দেওয়া হয়।
১ ফেব্রুয়ারি সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর সরকারের বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ তোলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। উৎখাতের পর থেকে সু চি ও অন্য প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি বিপুল জয় পায়। এর পর থেকেই মূলত সংকট ঘনীভূত হতে থাকে। সেনাবাহিনী ও সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নির্বাচনের পর থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ করে আসছিল। দেশটির নির্বাচন কমিশন এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।
সূত্র : এনডিটিভি।