চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। গত কয়েক মৌসুমের মতো এবারও কি তাদের স্বপ্ন ভেঙে খানখান হবে? কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচ শেষে ইঙ্গিতটা তো সে রকমই। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ফরাসি ক্লাবটি।
ঘরের মাঠে হেরে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে আরো কঠিন। তবে এখনও দ্বিতীয় লেগ বাকি থাকায় আশা হারাচ্ছেন না পিএসজি তারকা নেইমার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনালে ওঠার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি’ বলে দলকে উদ্বুদ্ধ করছেন দলের সবচেয়ে বড় এই তারকা।
প্রথমার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলেছিল পিএসজি। সিটির রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করেছিল তারা। বেশ কয়েকটি কর্নার পায় তারা এ সময়। এমনই এক কর্নার থেকে ১৫ মিনিটে হেডে গোল করেন পিএসজি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মার্কুইনহোস। কিন্তু বিরতির পর সিটি ধীরে ধীরে চাপ বাড়িয়েছে পিএসজি রক্ষণে, এই ধকল নিতে পারেনি মারিসিও পচেত্তিনোর দল। ১৪ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল ও একটি লাল কার্ড হজম করে ক্লাবটি।
আগামী ৫ মে সিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগে খেলবে নেইমাররা। প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করতে পেরুতে হবে কঠিন পথ। সিটির মাঠে ন্যূনতম ২-০ ব্যবধানে জিততে হবে পিএসজিকে। ফরাসি ক্লাবটির মাঠে দুটি ‘অ্যাওয়ে গোল’ করার সুবিধা নিয়ে এমনিতেই এগিয়ে আছে সিটি।
তবে সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। দলের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস আছে। ম্যাচ শেষে টুইটারে আত্মবিশ্বাসী নেইমার লেখেন, “আমরা একটা লড়াইয়ে হেরেছি, কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যেমন খেলেছি তার চেয়ে ভালো খেলতে পারি…এক শতাংশ সুযোগ আর ৯৯ শতাংশ আত্মবিশ্বাস।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে নিজের সবশেষ ছয় ম্যাচে গোল করতে পারেননি নেইমার। গ্রুপ পর্বের বাইরে সবশেষ গোলটি করেছিলেন ২০১৯-২০ আসরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে।
সিটির বিপক্ষে পিএসজির পরিসংখ্যানও আশানুরূপ নয়। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় চার ম্যাচে সিটির বিপক্ষে নেই কোনো জয়; দুটি করে ড্র ও হার। এর চেয়ে পিএসজির লম্বা জয় খরা কেবল জুভেন্টাসের বিপক্ষে, আট ম্যাচ খেলে জেতেনি কখনোই।