চুনারুঘাট প্রতিনিধি:

চুনারুঘাটের চাটপাড়া আইডিয়েল একাডেমি স্কুল নিয়ে আবারো হীন রাজনীতিতে নেমেছেন একটি কুচক্রি মহল। ২০১৬ সালে দৃষ্টি নন্দন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হলে শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবক ও সাধারন মানুষের কান্নায় এলাকার বাতাস বাড়ি হয়ে উঠেছিলো। এলাকার দানশীল ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি কাজী হারুনুর রশীদ ও এলাকার সাধারন মানুষের প্রচেষ্ঠায় স্কুলটি আরো দৃষ্টিনন্দন করে পুনঃ নির্মান করলে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রান চাঞ্চল্য ফিরে আসে। ইদানিং এলাকার জনৈক মদরিছ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি প্রতিষ্টানটির দাদা সদস্য ও প্রতিষ্টাতা ও বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যহানীর হীন চেষ্টা করছেন। এ কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবক ও সাধারন মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলা রাণীগাও ইউনিয়নের চাটপাড়া গ্রামের নুরুন্নেসা খাতুন ১৯৯৯ সালে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্টায় ৫৬ শতক জমি দান করেন কিন্তু স্কুলটি ১২ বছরেও প্রতিষ্টিত না হওয়ায় একই গ্রামের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি কাজী হারুনুর রশিদ ২০১২ সালে আরো ৩১ শতক ভুমি দান করে বিদ্যালয় প্রতিষ্টায় বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৫’শ শিক্ষার্থী মান সম্মত শিক্ষা নিচ্ছেন।


প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্যের নাতি আদনান সানি বলেন, মদরিস উদ্দিন চাচাতো চাচা। তিনি বিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্টের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি বলেন,তার বাবা আসাদুজ্জান আসাদ জীবিত অবস্থায় রেজুলেশনের মাধ্যমে কাজী হারুনুর রশীদকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করে গেছেন যিনি বিদ্যালয়টিকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বলেন, আমি বিগত সময়ে রাজার বাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্রীকুটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলাম কিন্তু চাটপাড়া আইডিয়েল একাডেমির প্রতিষ্টাতা কাজী হারুনুরের শিক্ষার প্রতি দরদ দেখে নিজেকে ধন্য মনে করছি। একাডেমির প্রতিষ্টাতা কাজী হারুনুর রশীদ বলেন, আমার জীবনের সমুদয় উপার্জন, শ্রম,মেধা দিয়ে একাডেমিকে সাজাতে কাজ করছি। একাডেমির সকল শিক্ষার্থীকে আমি সন্তানের মতো আগলে রাখি। তারা সবাই আমার সন্তান। কাজী হারুন করোনাকালিন সময়ে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে প্রনোদনা দিয়েছে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।