মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট
নিন্মতম মুজুরী বোর্ড কর্তৃক চা শ্রমিকদের জন্য খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবীতে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার (লস্করপুর ভ্যালি) ২৩ টি বাগানের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। (২২ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলার চা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্য্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লস্করপুর ভ্যালীর সভাপতি রবিন্দ্র গৌর। এসময় ভ্যালী সেক্রেটারী অনিরুদ্ধ বাড়াইক ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল সহ ২৩ চা বাগানের পঁঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি উপস্থিত ছিলেন।
চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্যকালে শ্রমিক নেতারা বলেন, চা শিল্পের বহু বছরের প্রতিষ্ঠিত রীতি হচ্ছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশীয় চা সংসদের প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়ে থাকে। কিন্তু, মজুরী বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত খসড়ায় বলা হয়েছে বহু বছরের প্রতিষ্ঠিত রীতি অনুযায়ী টি গার্টেন শিল্প সেক্টরের চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে মালিক পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ চা সংসদ প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর মজুরী ছাড়াও উৎপাদনশীলতা সহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করিয়া সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
প্রতি দুই বছর স্থলের জায়গায় তিন বছর অন্তর অন্তর চুক্তি হলে শক্তিশালী মালিক পক্ষের দ্বারা অপেক্ষাকৃত মজুরী নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি কত তারিখে কার্যকর হয় কত তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে চুক্তি সম্পাদনের তারিখ বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও বাংলাদেশ শ্রমিক ইউনিয়ন আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে থাকেন। চা বাগান সৃষ্টি লগ্ন থেকে চা বাগান শ্রমিক সন্তানরা চা-বাগানের কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। দেড়শ বছরের চা বাগান রীতি অনুযায়ী একজন স্থায়ী শ্রমিক যেকোনো কারণে অবসর হইলে তার পরিবার বা নিকটাত্মীয়কে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
পূর্বের রীতি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের শিক্ষানবিশ কাল কোন সময় ছিল না। আমরা এখনো চাইনা। বর্তমানে চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি থাকায় ১২০ টাকা মজুরীকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকায় উন্নিত করার দাবী জানান তারা। তারা বলেন, আড়াই বছর পূর্বের নির্ধারণ করা ১২০ টাকা মজুরী আবার নতুন করে ঘোষণা করার কোনো মানে হয় না। নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর আগেই এর বৃদ্ধি হওয়ার কথা। তারা, মাতৃকালীন ছুটি ৪ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করারও দাবী জানান। দাবী আদায় না হলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান ।