মো.সাইমুম খান (সাভার প্রতিনিধি)
গত ১৩ ই জুলাই আশুলিয়ার রুপায়ন মাঠ বেরন ছয়তলা এলাকায় নিজ বাসা থেকে মিন্টু চন্দ্র বর্মন (৩৬) নিখোঁজ হন। তার সন্ধানে 22 শে জুলাই আশুলিয়া থানায় জিডি করেন পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই অভিযানে নামে র্যাব।সন্দেহজনক হিসেবে রবিবার মধ্যরাতে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করা হয় মিন্টু চন্দ্র বর্মন এর সহকর্মী রবিউল ইসলামকে। তার জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।। র্যাব জানায় হত্যার পর লাশ ৫ টুকরো করে পুতে রাখা হয় স্কুল মাঠে। আজ সকালে র্যাব পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে। র্যাব জানায় স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তাকে খুন করা হয়। হত্যায় জড়িত অভিযোগে সাভার থেকে মোতালেব ও রংপুর থেকে রবিউলের ভাগ্নে বাদশা কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব আরো জানায় তারা তিনজনে মিলে পরিকল্পনা করেছিল এবং তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিউল এবং বাদশা এই ঘটনাটি ঘটায়। র্যাব হত্যায় ব্যবহৃত শাবল এবং অন্যান্য গেঞ্জি জিন্সের প্যান্ট এইসকল আলামত সামগ্রী জব্দ করেন। স্বজনরা জানান ২০১৯ সালে মিন্টু চন্দ্র বর্মন সহ ৩ জন মিলে জামগড়া এলাকায় সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। অন্য দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবিউল ইসলাম ও মোতালেব,মিন্টু চন্দ্র বর্মন ছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু তার সুনাম এবং কলেজে বেশি গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অন্য দুই প্রতিষ্ঠাতা রবিউল ও মতলব এর দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।
র্যাব বলেন উনি প্রচুর পরিমানের কোচিং করাতেন এবং ছাত্র-ছাত্রী পড়াতেন পাশাপাশি অধ্যক্ষ হিসেবে এখানে খুব ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন যেটা অন্য দুই সহযোগীর মধ্যে একটি রিস এর কাজ করে,মূলত এ কারণেই তারা এ ঘটনাটি ঘটায়।