ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বিলকাঠুরিয়া কুয়েত প্রজেক্ট এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছে অসহায় একটি পরিবার। সেই হামলায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর তলপেটে লাথি ও ঘুষি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। পরিবারের অভিযোগ সংস্লিস্ট থানায় মামলা দায়েরের পরও আসামীরা প্রকাশ্যে।

প্রতিনিয়তই ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন সহ মামলা উঠিয়ে নেয়ার চাপ দিচ্ছে। হামলার শিকার পরিবার ও মামলার বাদি মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, আমার যুবতি মেয়ে মিনু আক্তার বৃষ্টি(১৮) কে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলো এলাকার একদল বখাটে। এ বিষয়ে নিষেধ করলে উল্টো তারা বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদর্শন করছিলো। সর্বশেষ গত ১৩ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় আমার ছেলে মোঃ রাজিব আহম্মেদ (২৪), ছেলের ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী প্রিয়া (২০) ও মেয়েকে নিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় আসামী মোঃ নূর আলম(৩২), আল আমিন (৩৩), মোঃ রানা (৩২), বাদল (২৮), রনি (৩৫), মনির (২৮), মোঃ আবু সহ আরো কয়েকজন আমাকে ডাকাডাকি করে ঘরের বাইরে যেতে বলে। আমি না গেলে তারা আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে পূর্বের বিরোধের জেরে গালিগালাজ করতে থাকে। এতে আমি প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।

পরে আমার ছেলেকে আসামী আল-আমীন, নূর আলম, রনি সহ বেশ কয়েকজন বাড়ির পাশের ডোবায় নিয়ে চুবাতে থাকে। এ সময় আমার ছেলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মেয়ে আমাদের বাচাতে এগিয়ে আসলে পুত্রবধূকে তলপেটে লাথি ও ঘুষি মারলে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। সেসময় আমার মেয়েকে রনি, রানা, বাদল মারধর করে পরিধেয় কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি সহ তার গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে যায়। পরে আমাদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আসামীরা হুমকি প্রদর্শন করতে করতে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় সেদিন রাতে মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নেই ও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। চিকিৎসা শেষে গত ১৮ আগষ্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি দিচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন এলাকার কেউ কেউ ঘটনাস্থলে থাকলেও আসামীদের ভয়ে এগিয়ে যাননি। সবাই ঘটনায় জড়িত দোষীদের শাস্তি কামনা করেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন এই বিষয়ে মামলা হয়েছে আমারা আসামীদের গ্রেফতার করার চেস্টা করছি।