স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার মৃত খন্দকার আশরাফ হোসেনের পূত্র বেলায়েত হোসেনের সহায় সম্পদ জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে তারই আপন ভাগিনারা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ক্রয়কৃত ও পৈতৃক সম্পদ ফেরত পাওয়া এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন, ‘আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী খন্দকার বেলায়েত হোসেন, পিতা: মৃত খন্দকার আশরাফ হোসেন, গ্রাম: গোড়াইল, পোঃ সাকরাইল, উপজেলাঃ নগরকান্দা, জেলাঃ ফরিদপুর। আমার ভাগিনারা, যথাক্রমে ১। এএসআই নূরুল ইসলাম (বিপি-৮৮০৭১১৩৭০৪, কর্মস্থল- ধামরাই থানা, ঢাকা জেলা), ২। এএসআই তৌহিদুল ইসলাম (বিপি-৮৪০৭১১৩৭০৬, কর্মস্থল- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, শরীয়তপুর জেলা), ৩। নায়েক শহিদুল ইসলাম (কর্মস্থল- ঢাকা জেলা, ঢাকা রেঞ্জ), ও ৪। কন্সটেবল জাহিদ হাসান (বিপি-৯০১১১৪২১০৭, কর্মস্থল- ডিবি, গোপালগঞ্জ জেলা) সর্বপিতা-তোতা মোল্লা। তারা সকলেই পুলিশে চাকরি করে। আমার ভাগিনারা আমার পৈতৃক ভিটা-বাড়ি, ফসলী জমি এবং আমার ক্রয় করা সম্পদ দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এবং ভোগ দখল করিতেছে। আমি সরকারী চাকরি করার সুবাদে পরিবার পরিজন নিয়ে আমার বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়েছে। আমার ভাগিনারা আমার ক্রয় করা ভিটা বাড়িতেই থাকে। আমি চাকুরী থেকে অবসরে এসে বাড়ি ফিরতে চাইলে আমার ভাগিনারা আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং আমাকে আমার বসত বাড়িতে ঢুকতে দেয় নাই। বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিলে প্রাণভয়ে আমি পৈতৃক ভিটা- বাড়ি ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পাশের উপজেলা বোয়ালমারিতে বসবাস করতে থাকি। তারা নিজেদের চাকরির ক্ষমতা দেখিয়ে এবং তাদের গ্রাম্য লাঠিয়াল বাহিনীর মাধ্যমে জোরপূর্বক আমার সহায় সম্পদ দখল করে আছে। আমার সম্পত্তি ফেরত চাহিলে তাহারা নিজেদেরকে খুবই ক্ষমতাধর ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে মামলা ও পুলিশের ভয় দেখায়। আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মিথ্যা অস্ত্র ও হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। আমি এখন প্রাণভয়ে আমার পৈতৃক ভিটা বাড়ি ও নিজের রাখা সম্পত্তিতে যাইতে পারছি না বিধায় মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি। আমি আমার পৈতৃক ভিটা বাড়ি ও নিজের কেনা সম্পত্তিতে যেতে চাই। আসামীগণ আমাকে প্রাণে মারিয়া ফেলার এবং নির্বংশ করিয়া ফেলার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায়, মহোদয়ের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমি যেন আমার ক্রয়কৃত ও পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে পারি এবং নিজ বাড়িতে পরিবার পরিজন লইয়া নিরাপদে বসবাস করিতে পারি তাহার সুব্যবস্থা গ্রহণে জনাবের একান্ত মর্জি হয়।’
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি সরকারী চাকরী করতাম। আর সে কারনে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং ছিল। আমি আমার বোন ও ভাগিনাদের আমার বাড়ীতে থাকার জন্য জায়গা দেই। এখন ওরা আমার পুরো বাড়ী দখল করে নেওয়ার পায়তারা করতেছে। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী ধমকী দিচ্ছে। আমি যেন বাড়ীতে না ঢুকতে পারি সেজন্য আমার নিকট দুই লাখ টাকাও চাঁদা দাবী করেছে আমার ভাগিনারা। ওরা পুলিশে চাকরি করে, আর সেই ভয়ই আমাকে দেখায়। আমি কোন উপায়ন্ত না পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।