একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮-৯ টাকা বেড়েছে। একদিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৬০ টাকায়।

পাইকারিতে দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। কয়েকদিন আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

পেঁয়াজ সরবরাহকারী সবুজ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আগে বন্দর দিয়ে বেশি বেশি পেঁয়াজ আসতো। ভারত আমদানি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় বর্তমানে তা কমে ১২-১৩ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। আমদানি কমে আসায় একদিন আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৮-৫২ টাকায়, সেই পেঁয়াজ এখন ৫৭-৬০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব পাইকাররা হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসতো। তারাও আর আসছে না।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম ও নাজমুন নাহার বলেন, প্রতিদিন যেভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। যে যার ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে চলছে, কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের উচিত এমন অবস্থা রুখতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা। 

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, ভারতে বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় সেদেশেই পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানেও দাম বেড়েছে। ফলে আমাদের চাহিদা মতো পেঁয়াজ রফতানি করতে পারছে না।  পেঁয়াজ আমদানি ও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এছাড়াও ২ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। সেসময় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে। এতে করেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আশা করছি, আগামী ২০/২৫ দিনের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলে সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কমবে।