রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষধের অধিবেশনে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের মন্ত্রী কোয়ে তিন্ত সোয়ে এ কথা বলেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কথা তুলে ধরে কোয়ে তিন্ত সোয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার ক্রমাগত আহ্বান রয়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে “সেফ জোন” তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না এবং এটি বাস্তবসম্মতও নয়।’
তবে কোয়ে তিন্ত সোয়ে জানিয়েছেন, তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ‘আরও উপযোগী পরিবেশ’ তৈরিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মিয়ানমার।
ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটে আসিয়ানের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেছিলেন, ‘রাখাইনে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতাসহ সামগ্রিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নয়।’
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। বিপুল এ রোহিঙ্গাদের প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গাই এসেছেন ২০১৭ সালের আগস্টে। তখন মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে দমন-পীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
এরপর যাচাই-বাছাই করে মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের তিন হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা চূড়ান্ত করলেও দেশটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুই দফা চেষ্টার পরও কোনো রোহিঙ্গাই স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হয়নি।