উচ্চকণ্ঠ: এম আর স্বাধীন।

বরিশাল জেলার,বাকেরগঞ্জ উপজেলার, কলসকাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শাদিস গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আদালতের দারস্ত হয়েছে মৃত আ: হাকিম খানের পুত্র আ: রশিদ খা। এমর্মে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আ: রশিদ খান বাদী হয়ে একই এলাকার মো: মোজাম্মেল হক খান সহ ৭জনকে বিবাদী করে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এমপি কেস নং ২৯১/২০১৯। অন্য বিবাদীরা হলো মো: মোজাম্মেল হক খানের পুত্র মো: সেলিম খান, মৃত: আ: মজিদ খন্দকারের পুত্র গোলাম মাওলা, রাজ্জাক খন্দকারের পুত্র মনির খন্দকার, মৃত আবুল বাশার খন্দকারের পুত্র ওদুদ খন্দকার ( টিটু), নান্না খন্দকার, ফাহাদ খন্দকার।

মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিবাদীরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাদীর সম্পত্তিতে জোরপূর্বক গাছ পালা কেটে পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে।
জমির মালিক উক্ত নির্মাণ কাজে বাধা দিলে ফাহাদ খন্দকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী জমির মালিক কে প্রানে মারিতে উদ্যোত হয়। বাদী (আ: রশিদ খান) এর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিককে হত্যার হুমকি প্রদান করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, খন্দকার ও খান পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘ দিনের। ২০১৫ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর ফাহাদ খন্দকার, পান্না খন্দকার, নান্না খন্দকার, ওদুদ খন্দকার সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মোজাম্মেল খান গংদের রোপিত ছোট বড় ৩০/৩৫টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে তান্ডব চালায়।

এসময় মোজাম্মেল খানের ঘরে আগুন দেয়ার হুমকি প্রদান করে সন্ত্রাসীবাহিনী। তাছাড়া মোজাম্মেল হকের ছেলে ও মেয়েকে মোবাইল ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান ও পথে ঘাটে দেখলে গালমন্দ ও নারীদের ইভটিজিং করে ফাহাদ খন্দকারের সন্ত্রাসীবাহিনী। সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মোজাম্মেল খান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ভাই মৃত হাকিম খানের পুত্র মো: জাহাঙ্গীর হোসেন খান ও ভাগনী জামাই রেজা মোশারফ আত্মরক্ষার্থে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বরিশাল পুলিশ সুপার ও বাকেরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। এবং এমের্ম ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে সাংবাদিক সম্মেলন ও করেন। পরবর্তীতে ফাহাদ ও টিটু খন্দকারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মৃত হাকিম খানের পুত্র আ: রশিদ খান, মৃত: আ: মজিদ খানের পুত্র মোজাম্মেল খান, মৃত আফতাজ উদ্দিন খানের পুত্র নুর হোসেন খান বাদী হয়ে স্থানীয় মৃত: আ: রাজ্জাক খন্দকারের পুত্র মো: হেলাল খন্দকার, মৃত: আবুল বাশার খন্দকারের পুত্র টিটু খন্দকার ও মৃত আ: মজিদ খন্দকারের পুত্র মো: হিরু খন্দকারকে বিবাদী করে ৯নং কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে নালিশী জানায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আ: রাজ্জাক মনু তালুকদার ২জন ইউপি সদস্য সহ ৫জনকে শালিশ মনোনীত করে ১৮ এপ্রিল ২০১৯ সৃষ্ট সমস্যা শালিশের মাধ্যমে নিষ্পতি করে দেয়ার জন্য দিনক্ষন ধার্য্য করেন।

উক্ত শালিশ মিমাংশা না মেনে টিটু খন্দকার গংয়েরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গায়ের জোড়ে গাছ কর্তন ও জমি দখল করে ভবন নির্মাণে চেষ্টা চালায়।
এব্যাপারে মোজাম্মেল হোসেন খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন টিটু খন্দকার গং সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে আসছে’। ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাই’।

উল্লেখ্য একটি গোপন সূত্র থেকে জানা যায় যে ফাহাদ খন্দকার ও টিটু খন্দকার বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে কোটি পতি বনে যায়, যার সুবাদে অর্থ দিয়ে এলাকার গণ্যমান্য কিছু অসাধু ব্যক্তিদের হাতে নিয়ে এলাকার সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে, অর্থের জোরে কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী ও লালন পালন করছে বলে সূত্রটি জানায়।