উচ্চকন্ঠ: মোঃ মিজানুর রহমান স্বাধীন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কলেজের নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে জখম। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় তুষখালী কলেজের নৈশপ্রহরী খাইরুল গুরুতর আহত। এই বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবি মঠবারিয়া থানা (ওসি) আবু জাফর মোঃ মাসুদুজ্জামান এর উদাসীনতা ও অপরাধীদের সাথে যোগসাজশ থাকার কারণে এলাকার আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে নির্যাতিত ব্যক্তি মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবু জাফর মোঃ আসাদুজ্জামান এর কাছে গেলে নির্যাতিত ব্যক্তিদের সাথে খারাপ আচরণ করে থানা থেকে বের করে দেয়, যার কারণে অপরাধীরা নির্দ্বিধায় অপরাধ করতে সাহস পায়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত নৈশপ্রহরীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে একদল সন্ত্রাসী তুষখালী কলেজে ঢুকে কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। এ সময় কলেজে দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী খাইরুল ফরাজী বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা কলেজের একটি ট্রাক, একটি বাস, মোটরসাইকেল ও রাস্তার একটি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাংচুর করে। কলেজ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় মঠবাড়িয়া উপজেলা দল। খেলায় ভান্ডারিয়া উপজেলা দল পিরোজপুর সদর উপজেলা দলকে সমর্থন দেয় এবং মাঠে বাদকদলসহ ভান্ডারিয়া উপজেলার কয়েক শত দর্শক উপস্থিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত তুষখালী কলেজে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তুষখালী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাবেক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন কলেজে হামলা চালিয়েছে। এ হামলা পরিকল্পিত বলেও দাবি করেন তিনি। মঠবাড়িয়া থানার (ওসি) আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান এর কাছে সংবাদকর্মীরা হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাউকে মারধরের খবর আমার জানা নেই। এ বিষয়ে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।