মাহফুজ বাবু

কুমিল্লায় শানু বেগম (৪৮) নামে এক গৃহিনীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৪টায় জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক প্রতিবেশী মাদকাসক্ত চা দোকানী দেলোয়ার হোসেন (৩০) কে আটক করেছে। নিহত শানু বেগম একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী ২ কন্যা সহ ৪সন্তানের জননী। প্রতক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৪টায় শানু বেগম রান্না ঘরে মেয়ে ও নাতনীদের জন্য তেলের পিঠা তৈরী করছিল। এসময় শানু বেগমের রান্নাঘরে প্রবেশ করে প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন। ভোররাতে প্রতিবেশীর ঘরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শানু বেগমকে বটি দা দিয়ে জবাই করে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।

বাড়ির ভাড়াটিয়া যোবায়ের ও তার স্ত্রী রেহেনা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়ে ঘাতক দেলোয়ার কে উঠানে দেখতে পায়। এতো রাতে উপস্থিতির কারন জানতে চইলে অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। পাশের রান্না ঘর থেকে গোঙ্গানির আওয়াজ শুনতে পেয়ে শানু বেগমের রক্তাক্ত দেহ দেখে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে যোবায়ের ইট নিয়ে তাড়া করে দেলোয়ার কে। দেলোয়ারের চাচা সহ আশেপাশের প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে দেলোয়ার কে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শানু বেগম কে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক দেলোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতয়ালী মডেল থানাধীন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহমুদ হাসান রুবেল বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তাক্ত একটি বটি দা সহ আলামত জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক দেলোয়ার কে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারন জানতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।