যশোরে সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে জনি হোসেন (২৮) নামে যুবককে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জনি একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই মোটরসাইকেলটি রেখে পালিয়ে যান নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।নিহতের স্বজনরা জানান, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিএম সবুজ হাসান ও বর্তমান সভাপতি শাহিন আলম মাটি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। তারা বিভিন্ন গ্রাম থেকে মাটি কিনে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। সম্প্রতি নরেন্দ্রপুরের হাসিবের জমির মাটি কিনতে চান দুজনই।

এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে সোমবার সন্ধ্যার পর নরেন্দ্রপুর মাস্টারপাড়ায় দুপক্ষ সমঝোতা বৈঠকে বসে। সেখানে শাহিন আলম মোটরসাইকেল, ইজিবাইকে করে ২০-২২ জন কর্মী নিয়ে আসেন।বৈঠকে সবুজের পক্ষে ছিলেন জনি। বৈঠক চলাকালে শাহিনের কয়েকজন কর্মী জনিকে ডেকে বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করলে শাহিন ও তার কর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে শাহিনের এক পায়ে সমস্যা থাকায় মোটরসাইকেল না নিয়েই অন্য বাহনযোগে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে তার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এলাকায় দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে জনিকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মাটি কেনাবেচা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তারই জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের বাবা থানায় এসেছেন। এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হলেও মালিক শনাক্ত করা হয়নি।