নিজস্ব প্রতিবেদক


কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মনিপুর এলাকার নারায়ন চন্দ্র শীল হত্যাকান্ডের ৬ মাস পর মূল আসামী শিউলি আক্তারকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী শিউলি আক্তার হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, এ বছরের ১৯ জুন উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মনিপুর শীল বাড়ীর নিখোজ নারায়ন চন্দ্র শীল (৬০) এর মেয়ে মনি রানী শীল তাঁর পিতার নিখোজের বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি নিখোজ ডায়েরী রজু করে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ নিখোজের বিষয়টি নিতে তদন্ত শুরু করে। তৎকালীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর এস আই মোহাম্মদ শাহীন মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোজের সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হয়। নিখোজের ৯ দিন পর উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার এলাকার আমির মাষ্টারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া উর্মিলা চক্রবর্তী সুমা (৩২) ও তাঁর ভাই শংকর (২৮)’কে আটক করে পুলিশ।
পরে আকটকৃতদের দেখিয়ে দেয়া স্থান, জেলার বরুড়া উপজেলার বড়হাতুয়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি ঝোপ থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় বস্তাবন্দি নিহত নারায়ন চন্দ্র শীলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।


তখন মামলার দুই আসামী গ্রেফতার হলেও মূল আসামী ছিলো পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর চৌকস এস আই নন্দন চন্দ্র সরকার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার মূল আসামী জেলার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল (মাধাইয়া) গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী শিউলি আক্তার (২৫) এর অবস্থান নিশ্চিত করেন।


পরে বুধবার রাতে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার শহিদনগর গ্রামের কালাম মিয়ার বাড়ী থেকে শিউলি আক্তারকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত শিউলি আক্তারকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করলে শিউলি আক্তার হত্যার সাড়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।