ইতালিতে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় নানা শংকা আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন শরীয়তপুরের ইতালি প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরা স্বজনদের নিয়েও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন অনেকেই।
সম্প্রতি ইতালি থেকে শরীয়তপুরে ফিরে আসা ১শ ৯২ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা জানিয়েছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনির হোসেন।
জেলা প্রশাসনের হিসেবে শরীয়তপুরের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ইতালির বিভিন্ন শহরে বসবাস করছে। তবে সরকারি হিসাবে শরীয়তপুর জেলায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার লোক প্রবাসে রয়েছে। এদের মধ্যে নড়িয়া উপজেলায় ইতালি প্রবাসী সবচেয়ে বেশী। নড়িয়া উপজেলার নালতা গ্রাম পরিচিতি পেয়ে ইতালি গ্রাম নামে। ইতালিতে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় দুশ্চিন্তা আর অজানা শংকায় ভেঙে পড়েছে ইতালি প্রবাসী পরিবারের সদস্যরা।
প্রবাসীদের পরিবারের সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ, হালিমা বেগম বলেন, আমার ভাই-ভাবী ইতালিতে আছে। কিন্তু কোনো কাজকর্ম করতে পারছে না। বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছেনা বাঙ্গালীদের। যার কারণে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ভাইদের ও ছেলে মেয়েদের। তারা সুস্থ আছে, কিন্ত না খেয়ে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনির আহম্মদ খান বলেন, সম্প্রতি ইতালি থেকে শরীয়তপুরে ফিরে আসা ১শ ৯২ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে একটি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।