মোঃ রোমান- ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে করোনা মোকাবিলায় কর্মরত চিকিৎসকদের ৫০০ পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এম.পি.।
শুক্রবার দুপুরে শহরের বদরপুরে আফসানা মঞ্জিলের বাসভবনে তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাতে এসব পিপিই তুলে দেন।
এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ৩০০ এবং ফরিদপুর ডায়বেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ২০০ পিপিই দেয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস এখন একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। এখনো আমাদের দেশে এই ভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, দরকার সবার সহযোগিতা। আমরা সবাই সচেতন হলেই এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব।
তিনি জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফরিদপুর শহরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৭টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২টি সহযোগিতা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই আপদকালে আমরা দলীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ হতে ৩০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করব।
এসময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন টিটো চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচএম ফোয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে নতুন করে ৯১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫৬৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আর নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ায় ৮৮ জন মুক্ত হয়েছেন।
তথ্য ও ছবি সংগৃহীত