মোঃ রোমান- ফরিদপুর প্রতিনিধি

নভেল করোনা ভাইরাস-১৯ এর সংক্রমন ঠেকাতে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের বিশেষ টিম জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে জনসমাগম রুখতে সাধারন মানুষকে ঘরে রাখা, ফেরা ও সচেতনা কার্যক্রম আরো বেশি জোরদার করেছে। এসব কার্যক্রমে পুলিশ পক্ষ থেকে সকলকে বলা হচ্ছে আপনি ঘরে থাকুন আমরা আপনাকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবো।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে প্রথম থেকেই সরকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরপর তাদের খোজঁ খবর নিতে কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ ৭ থেকে ৮বার পর্যন্ত তাদের বাড়ি যাওয়া হয়। একই সাথে জেলা জুড়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিলি, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। জনগনকে বাড়ীতে রাখার ব্যবস্থা গ্রহনের সাথে সাথে অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি রুখতে শহরে ১২/১৩ বার টহল দেয়া হচ্ছে। একই সাথে জেলার প্রত্যেকটি থানা থেকে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি কয়েকটি টিম দিন থেকে রাত পর্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি কাজ করছে।

তিনি বলেন, জেলার সমস্ত হাট-বাজার-ঘাট জনসমাগম ঠেকাতে বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করতে করতে গিয়ে চুরি ডাকাতি বেড়ে নিরাপত্তার প্রশ্ন আসতে পারে সেদিক বিবেচনায় নিয়ে রাত অবধি মানুষের জান মালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি ফরিদপুরবাসীকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন আমরা আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবো। এছাড়া যেকোন প্রয়োজনে পুলিশকে জানান পুলিশ আপনাদের পাশে গিয়ে দাড়াঁবে।

অপরদিকে বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে শনিবার থেকে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এ কার্যক্রমে প্রতিটি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, তেল, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আমরা ৯টি উপজেলার খাদ্য সহায়তা বিতরন কর্মসূচিতে ৩১শত ৬টি পরিবারের জন্য ১১৫ মেঃ টন চাল ও নগদ ১৮ লক্ষ ১০হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। একই সাথে মজুদ রয়েছে ১৯২ মেঃ টন খাদ্য ও ২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।

এদিকে রবিবার ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৬১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এর ভিতর ছুটি দেয়া হয়েছে ৭১৯ জনকে। এর ভিতর গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১০৮ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

তথ্য ও ছবি সংগৃহীত