করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে ইউরোপ-আমেরিকা বিপর্যস্ত। আঁচ এসে লাগতে শুরু করেছে উপমহাদেশে। ইতোমধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে বাংলাদেশেও। কার্যত লক ডাউন অবস্থায় রয়েছে দেশ। এই সময়টায় খাদ্য সংকটে পড়েছে দিনমজুরেরা। সামর্থবানরা অনেকেই এগিয়ে আসছেন দিন মজুরদের খাদ্য সহায়তা দিতে। এগিয়ে আসছেন শোবিজ তারকারাও। এবার এগিয়ে এলেন মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী। ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা তাহেরী নিজ গ্রামের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তাহেরী কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘প্রত্যেক সামর্থবানরা যত্রতত্র দান না করে নিজ নিজ গ্রামে দান করলে আমার মনে হয় কেউ আর অনাহারে থাকবে না। ধরেন, আমার গ্রামে একজন এসে ৫-৬ জনকে ত্রাণ দিয়ে গেলেন। উনিই আবার অন্য গ্রামে গিয়ে দান করলেন এভাবে কিন্তু বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।, এই চিন্তা করে আমি আমার গ্রামের দিনমজুরদের তালিকা তৈরি করেছি। এবং সে অনুযায়ী সন্ধ্যার পরে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে আসছি।’
সন্ধ্যার পরে কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তাহেরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাকে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন যে স্থানীয় স্কুল মাঠে নির্দিষ্ট দূরত্বের দাগ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে ত্রাণ তুলে দিতে। কিন্তু বিষয়টা লোক দেখানো হয়ে যায়। আমি না করে দিয়েছি, আমি বলেছি ত্রাণ গ্রহীতার ছবি প্রকাশ্যে আসুক বা দান করার ছবি প্রকাশ্যে আসুক এটা আমি চাই না। এজন্য আমি সন্ধ্যার পরে সকলের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপইর গ্রামের দিনমজুরদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী।
ক’দিনের খাবার দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তাহেরী বলেন, ‘আমি তো বলেছি দানের বিষয়টা আসলে বলা ঠিক না। আমি বলতে চাই, এই মহামারী এটা কতদিন থাকবে বলা যাচ্ছে না। এখনই শেষ না। আমি গত ৫ দিন ধরে পরিকল্পনা করেছি কীভাবে আমার গ্রামের মানুষদের সহায়তা করবো। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমি ত্রাণ দিয়েছি, দিচ্ছি। সামনে আরো সময় আছে, সেভাবেই আমি এগোবে।’
কিছুদিন আগে মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী ওয়াজ মাহফিলের বক্তব্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।