মোঃ রোমান- ফরিদপুর প্রতিনিধি

গভীরতা নিয়ে ভাবার বিষয়: মসজিদের হুজুরের বেতন কতো? ভেবেছেন কখনো? ভাবার কি সময় নেই? ভাবা কি প্রয়োজন নয়????? মাসে-৫০০০/টাকা মাত্র পনের বছর পরও হুজুরের বেতন বাড়ে না,দীর্ঘ ১৫ বছরে হুজুরের বেতন ১,৫০০/ থেকে এখন ৫,০০০/ টাকা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কখনো লিখতাম না। কারণ হুজুরকে যখনি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়,তখনি তিনি বলেন-প্রতিদান আখেরাতে আল্লাহ দিবেন।দুনিয়াতে যা রিজিকে আছে তাতেই শুকরিয়া!

আলহামদুলিল্লাহ। লিখতে বাধ্য হয়েছি কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণির একটা বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে দেখে। তিনি বলেছেন ‘হুজুরদের যা বেতন,তাতে রাতে যে তাঁরা মুসল্লিদের ঘরে চুরি করতে যায় না সেটাই আশ্চর্যের বিষয়!’ হুজুররা বাজারের ফার্মেসির দোকানে একই দামে ঔষুধ কিনে খায়!হুজুর যে বাজার থেকে মাছ কিনেন আমরাও সেই বাজারেরই ক্রেতা!

মোবাইলে রিচার্জ করলে হুজুর বলে কেউ এক টাকা কম রাখেন না।জনপ্রতি পরিবার একশ টাকা করে বেতন দেন বলে তারা হুজুরের পান থেকে চুন খসলেই তীর নিক্ষেপ করেন। মন খারাপ হয়!আবার কিভাব যেনো সবার সাথে মিশে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে জন্ম তাঁদের! ভাববার বিষয়ঃ আজ মসজিদ গুলোর টাইলস হয়! কোণায় কোণায় ফ্যান!এসি হয়!!সবকিছুই নতুন হয়,কিন্তু শুধু পুরাতন মানুষটাই জরাজীর্ণ হয়ে থেকে যায়!আফসোস!!!

কোন এক ফজর নামাযের সময় ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে মসজিদে পৌঁছাতে না পারলে সেদিন যেন হুজুরের খবর হয়ে যায়।শত মানুষের চোখ হুজুরের দিকে।আঙ্গুল উঁচিয়ে তারাও ইমামের উপরে ইয়া বড় ইমাম সেজে বসে যান। যেন একমাত্র হুজুর ছাড়া সবাই আলেম মুফতি মুহাদ্দিস।

শুধু তই নয় প্রতিদিন সকালে হুজুরের কাছে মক্তবে পরতে জায় এলাকার শত শত শিশুরা, একটি পরিবারের মা-বাবা মিলে জেখানে একটা সন্তান কে এক পৃষ্ঠা কুরআন শিক্ষা দিতে পারেনা শেখানে হুজুরে কাধা চাপানো হয় এলাকার প্রতিটি ঘরের অবুঝ,অবাধ্য, বেয়াদব, সহ সকল প্রকৃতির সন্তানদের, এসব সন্তানদের পুরো কুরআন শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আদব কায়দা, হাদিস,মাসায়েল, নামাজ সব শিক্ষা দিতে হয় হুজুর কে, এখানে কয়েকটি বিষয়ে প্রতিদিন ২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষা দেন প্রতিদিন মসজিদে হুজুররা, আবার মক্তবে পড়া প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন ডেকে মক্তবে আনতে হয়, এসব ছাত্র-ছাত্রীরা দেরিতে আসলে বা বেয়াদবি করলে বা পড়া না পড়লে হুজুর যদি কাউকে মারে তবে অভিভাবক এসে হুজুর কে হুমকি দিতে দিধাবোধ করেনা,

কিন্তু এই পারানোর বাবদে তাদের কোন অতিরিক্ত বেতন নেই, তাদের বেতন একটাই প্রতি ঘর থেকে উঠানো ৪০/৫০ টা কা করে মোট ১,৫০০/৫,০০০ টাকা, যেখানে স্কুল,কলেজের একটা বিষয় ২০/৩০ মিনিট সপ্তাহে ৩/৪ দিন পড়িয়ে স্যাররা ৫০০/১০০০ টাকা বেতনেয় সেখানে একজন হুজুর কয়েকটি বিষয় একসাথে ১.৫০/২ ঘন্টা করে সপ্তহে ৬/৭ দিন পরিয়ে কোন বেতন পায়না, তবুও দিনশেষে সব অভিমান ভুলে ‘আখেরাতে প্রতিদান আল্লাহ দিবেন মর্মে এভাবে ধর্মকর্মে জড়িত আছেন বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ হুজুররা।

এগুলো সোজা কথা না! কঠিন চ্যালেঞ্জ’…।