খিলখেট নামাপারায় নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত শশুর ও পুত্রবধূ খিলক্ষেত থানা পুলিশের আদেশ শর্তেও মানছেন না হোম কোয়ারেন্টাইন। খিলক্ষেত, নামাপাড়া, বোটঘাট, বাসা-২০৫/২, মালিক নিয়াজউদ্দিন দর্জি তার ছেলে মনির হোসেন দর্জির স্ত্রী নারায়ণগঞ্জে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়, দশ দিন পর শ্বশুর নিয়াজউদ্দিন দর্জি পুত্রবধূকে আনতে নারায়ণগঞ্জে সেই আত্মীয়র বাড়িতে যায় এবং সেখানে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়ানো শেষে পুত্রবধূকে নিয়ে খিলখেট নামাপাড়া বোটঘাট ২০৫/২ নিজ বাসায় আসেন। সাম্প্রতিককালে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দারা বাংলাদেশের যে কোন এলাকায় গেলে তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন স্থানীয় প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় নিয়াজউদ্দিন দর্জি তার পুত্রবধূকে নিয়ে ১২/০৪/২০২০ইং বেলা বারোটার দিকে খিলক্ষেতের বাসায় আসেন, এলাকাবাসী ভীতু সন্ত্রস্ত হয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন, বিকেলে খিলক্ষেত থানা পুলিশ এসে নিয়াজউদ্দিন দর্জি ও তার পুত্র বধুকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন। পুলিশ চলে গেলে নিয়াজউদ্দিন দর্জি এলাকায় ঘুরে বেড়ায় এবং পূর্ব দর্জি পাড়া বাইতুল মুনাওয়ার জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করতে গেলে মসজিদের মুসল্লিসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এলাকাবাসী বিষয়টি খিলখেত থানা পুলিশকে জানালে খিলক্ষেত থানা পুলিশ নিয়াজউদ্দিন দর্জির বাহিরে বের হওয়ার বিষয়ে প্রমাণ চায়। নিয়াজউদ্দিন দর্জির বাসা থেকে পূর্ব দর্জি পাড়া বাইতুল মনাওয়ার জামে মসজিদে যেতে পথিমধ্যে ডি এম নজরুল এর বাসার সিসি ক্যামেরা ও হবিগঞ্জ ট্রেডার্সের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসী জানায়। প্রশাসনের নীরবতায় ভীতসন্ত্রস্ত এলাকাবাসী সংবাদকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করে। দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার চিফ ক্রাইম রিপোর্টার ১২/০৪/২০২০ রাত ৯.৩০ মিনিটে খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার কে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিয়াজ দর্জির নাম ঠিকানা লিখে ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। অথচ ১২/০৪/২০২০ রাত ৯.৩০ মিনিটে ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেও ১৩/০৪/২০২০ নিয়াজউদ্দিন দর্জিকে দর্জিবারি মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। মসজিদে নিয়াজউদ্দিন দর্জির উপস্থিতি দেখে অধিকাংশ মুসল্লী আতঙ্কিত হয়ে ভয়ে মসজিদ থেকে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন সাম্প্রতিককালে সারাবিশ্বে করো না ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া সত্বেও খিলক্ষেত থানা পুলিশ যে উদাসীনতা দেখিয়েছে এই উদাসীনতার কারণে খিলক্ষেতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার দায় কে নেবে। এলাকাবাসী আরও বলেন প্রশাসনের এই উদাসীনতার কারণেই আজ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে, নিয়াজউদ্দিন দর্জির উদাসীনতায় এলাকায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে করণায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির দায় কি খিলক্ষেত থানা পুলিশ নেবে। এসকল পুলিশের কারণে গোটা পুলিশ বাহিনী জীবনের বাজি রেখে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করার পরেও থেকে যায় জনতার মনে আঘাত কারী হিসেবে।