নিউজ ডেক্স
আব্দুল খালেক (৪৮) (ম্যানেজার মার্কেটিং), মমিন তালুকদার (ম্যানেজার), জাকির (৫০) (জিএম) ওয়ান গার্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড নামে (সাংবাদিক নাজমা সুলতানা নীলার মালিকানাধীন) প্রতিষ্ঠানে জয়েন্ট করেন প্রায় আট মাস পুর্বে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ মহামারি করোনা কালীন সময়েও তাদেরকে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসছে। অথচ সদ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সহজ সরল কর্তৃপক্ষের চোখে ধূলো দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে এই তিন প্রতারক মিলে থ্রী স্ট্রং নামে একটি সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানি খুলে সেখানে কাজ করে। ইতিমধ্যে মমিন ও জাকির কোম্পানি থেকে রিজাইন দিয়ে চলে যায়। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে গত ২০/১০/২০২০ইং তারিখে আব্দুল খালেক (ম্যানেজার মার্কেটিং) অফিসে আসলে রাত ৮:৩০মিনিটে তাকে নিয়ে মিটিংয়ে বসে ওয়ান গার্ড কর্তৃপক্ষ, এতে রাত ১২টা বেজে যায়। কর্তৃপক্ষ খালেককে এহেন প্রতারণার কথা জিজ্ঞেস করে ও ক্ষতিপূরণের কথা বলে। একপর্যায়ে খালেক তার স্ত্রীকে ফোন দেয় এবং তার স্ত্রী তাকে প্রতারণার বিষয়ে ভতসনা করে (অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত), রাত ১২:৩০ মিনিটে খালেকের স্ত্রী মুন্নি আক্তার তার জামাতাকে নিয়ে অফিসে আসে এবং খালেকের প্রতারনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে খালেককে কোম্পানির ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য লিখিত দিতে বলে তারা নিজেরাই সাক্ষী হিসেবে সই করে। এদিকে প্রতারক চতুর খালেক তার ভাতিজা সুজন (মির্জা আজম এমপির ড্রাইভার) কে দিয়ে রাত দুইটায় ভাটারা থানা থেকে এসআই সাহাবুদ্দিন ও এসআই খলিলসহ ৫/৭জন পুলিশ নিয়ে আসে। পুলিশ এসে প্রকৃত ঘটনা না জেনে কর্তৃপক্ষের সাথে অশোভন আচরণ করে। একপর্যায়ে ভোর ৩:৩০ মিনিটে সমজোতার কথা বলে উক্ত কোম্পানির (এইচ আর ম্যানেজার) নওসারকে তুলে নিয়ে যায়। সকালে নওসারকে থানায় খাবার দিতে গেলে জোনায়েদ (সুপার ভাইজার)কে আটকে রাখে। সাংবাদিকরা বিষয়টি জানার জন্য ও প্রকৃত ঘটনা জানানোর জন্য ভাটারা থানার ওসি মোকতারুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে প্রকৃত ঘটনা জানানোর পরেও ওয়ান গার্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক ও সংগঠক নাজমা সুলতানা নীলাসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে জানতে ভাটারা থানায় যান একদল সংবাদ কর্মী। প্রথম পর্যায়ে ওসি তদন্ত এর সাথে এ ব্যাপারে সামগ্রিক আলোচনার পর তিনি বলেন, আমি এই ব্যাপারটি অবগত, আমি কোন ধরনের সমাধান দিতে পারিনি বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছি কিন্তু মামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। ওসি মোক্তারুজ্জামান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে নামাজের বিরতিতে যাওয়ার পথে তিনি বলেন আপনারা ওসি তদন্ত এর সাথে কথা বলেন। এই বলে তিনি নামাজের বিরতিতে চলে যান। তারপর সাংবাদিক দলটি প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তার সাথে দেখা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে সাংবাদিক দলটির একজন কর্মী ওসি মোক্তারুজ্জামানকে ফোন দিলে তিনি বলেন এই ব্যাপারটিতে মামলা করা হয়েছে। আপনারা সন্ধ্যা ৭ টার পরে আসেন এ ব্যাপারে কথা বলব।